বুধবার ১৫ জানুয়ারি ২০২৫
বউ বেচা-কেনা, দেখতে যেতে হবে বুলগেরিয়ায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৬ PM আপডেট: ২১.১১.২০২৪ ৫:৫৫ PM
বুলগেরিয়ার স্টারা জাগোরা শহরে প্রতি বছর বসে একটি বিয়ের বাজার। যদি ভাবেন এখানে বিয়ের সদাইপাতি বিক্রি হয় তবে ভুল ভাবছেন। এখনে পণ্য হিসেবে থাকে শুধু কুমারী-তরুণী মেয়েরা, যারা তাদের সম্ভাব্য বরদের সামনে প্রদর্শিত করা হয়।

পুরুষেরা দরদাম করে বিয়ের পাত্রী কেনেন এই হাটে। স্থানীয়ভাবে এই বাজারকে ‘জিপসি বিয়ে বাজার’ বলে। মেয়েরা এখানে লম্বা ভেলভেট স্কার্ট ও উজ্জ্বল রঙের হেডস্কার্ফ পরিধান করে এবং সোনালি গয়নায় তাদের গলা, আঙুল, কান এবং দাঁতে ঝকমক করে।  

কালাইজ্জি রোমাদের প্রথা
বুলগেরিয়ায় রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার কালাইজ্জি রোমা গোত্রের অধিবাসী। এই গোত্রের লোকদের ইউরোপ জুড়ে একটু বাঁকা চোখে দেখা হয়। ইউরোপে জীবন সঙ্গী খোঁজার জন্য ডেটিং একটি প্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি হলেও এই গোত্রে ডেটিং এবং বাইরের বিয়ে একেবারে অবাঞ্ছিত। ফলে কালাইজ্জি জনসাধারণের জন্য এই বাজারই একমাত্র সুযোগ, যেখানে যুবক-যুবতীরা একে অপরের সাথে দেখা করতে পারে এবং সম্ভাব্য জীবনসঙ্গী খুঁজে পেতে পারে।  

সুন্দরী মেয়েরা মোটা দাম হাঁকেন
হিস্টোস জর্জিয়েভের বয়স ১৮ বছর, ডনকা দিমিত্রোভার পিতার সাথে দরদাম করছিলেন। মেয়েটির বয়সও ১৮ বছর। আলোচনা আটকে গেছে ৭ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৩০০ ডলারের এর মধ্যে। এই দাম একজন বুলগেরিয়ানের গড় বাৎসরিক আয়ের চেয়ে অনেক বেশি। ছেলেটি জানায়, সে সাইপ্রাসে কাজ করে এই টাকা জমিয়েছে। সে জানায় কনে যদি খুব সুন্দরী হয়, তাহলে দাম ১৩ হাজার ডলারও হতে পারে আর ‘অত্যন্ত সুন্দরী’ তা হলে ২১ হাজার পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে।

এই দরদামের সংস্কৃতি নিয়ে জানতে চাইলে বুলগেরিয়ার জাতীয়তাত্ত্বিক গবেষক ভেলচো ক্রুসটেভ জানান, এখানে পুরুষ একজন স্ত্রীর জন্য টাকা দিচ্ছে না, বরং তার কুমারীত্বের জন্য টাকা দিচ্ছে। তার মতে, যেহেতু বড় অংকের টাকা দেওয়া হচ্ছে, কনের নতুন পরিবার তাকে যথাযথভাবে মর্যাদাই দেবে।

মেয়েদের দৃষ্টিভঙ্গি
বাইরের পুরুষদের কাছে তাদের কন্যাদের ‘চুরি হয়ে যাওয়া ঠেকাতে’ কালাইজ্জি পরিবারগুলো সাধারণত তাদের মেয়েদের ১৬ থেকে ২০ বছরের মধ্যে বিয়ে দিয়ে দেয় এবং একাদশ শ্রেণীর পর তারা স্কুল ছেড়ে দেয়। কালাইজ্জি মহিলারা ঐতিহাসিকভাবে শুধু নিজের স্বামীর কাছেই তার সৌদর্য প্রকাশ করে। তারা মা এবং স্ত্রী হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করে। শিক্ষা তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং বুলগেরিয়ার রোমা মেয়েদের মধ্যে এক পঞ্চমাংশ শিক্ষিত নয়। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, মাত্র ১০ শতাংশ নারী মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করে।

কালাইজ্জি মহিলাদের জন্য প্রথমবার বিয়ে করার সময় কুমারী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অনেক টাকা কুমারীত্বের জন্য দেওয়া হয়। এই কনের বাজার একটি প্রাচীন প্রথা যা কালাইজ্জি পরিচয়ের জন্য অপরিহার্য, তাই এই প্রথাটি বেঁচে আছে, তবে এখনকার দিনে বেশিরভাগ মেয়েরই বিয়ে করার বিষয়ে কিছুটা হলেও পছন্দ রয়েছে- যদিও তা পরিবারের চাপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে এই চিন্তা কখনোই যথাযত হতে পারে না যে নারীরা এমন সম্পত্তি যাকে বিক্রি, দরদাম করা বা কেনা যায়। ইউরোপে কালাইজ্জি রোমাদের এই প্রথা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দুটোই আছে।

আজকালের খবর/ওআর








সর্বশেষ সংবাদ
চিলাহাটিতে বাউ মুরগি পালনের আগ্রহ বাড়ছে
‘ছাত্র সমন্বয়কদের ঘোষণাপত্রের দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া ঐতিহাসিক ভুল’
দুর্নীতির মাধ্যমে পুতুলের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পদ পাওয়ার অভিযোগ
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মাদারীপুর জেলা কমিটির অভিষেক
বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক গড়তে চায় পাকিস্তান
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
তাড়াশে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মহিলা মেম্বারকে মারধরের অভিযোগ
কমলগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
কুমিল্লায় জামায়াত নেতার গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
সংস্কার প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
না ফেরার দেশে নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft