জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকার’ বলে সম্বোধনকারী দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান। এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ড. আজিজুর রহমান জানান, অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ফরিদ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা হয়। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই উপাচার্য, প্রক্টরসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ মোট ২১৪ জনকে আসামি করা হয়। অধ্যাপক ফরিদ আহমদ মামলার ৮ নম্বর আসামি। পরে ৪ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একদল শিক্ষার্থী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে সাজ্জাদুলের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এছাড়া আন্দোলনের চলাকালে ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাটবক্স ফাঁস হয়। সেখানে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক জেবুন্নেসা লেখেন, ‘আমাদের এতগুলো শিক্ষক আহত হয়েছেন। আমরা না খেয়ে আছি। আমাদের খবর কেউ নিচ্ছে না।’
এ মন্তব্যের উত্তরে অধ্যাপক ফরিদ বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন। রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন। আপনাদের কষ্টের বিনিময়ে দেশ আগামী দিনে শুদ্ধ ধারায় এগিয়ে যাবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
আজকালের খরব/ এমকে