অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাসের অর্জন নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, তিন মাসে এ সরকার যথেষ্ট অর্জন করেছে। তারা সিনসিয়ার ছিল, কোনো কেলেঙ্কারির কথা শুনেছেন? আমরা বলতে পারি, মোটাদাগে ৫টা কাজ হয়েছে।
স্মুথ একটা ট্রানজিশন হয়েছে। একটা ভঙ্গুর অবস্থা থেকে ইকোনমিক রিকভারি হয়েছে। ম্যাসিভ গ্লোবাল সাপোর্ট পেয়েছি আমরা। রিফর্ম এবং ইলেকশনের একটা রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে রিফর্ম কতটুকু করা হবে এবং সে অনুযায়ী ইলেকশনের ডেট ঠিক হবে। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি, বন্যা, গার্মেন্টসে অশান্তিসহ অনেকগুলো ক্রাইসিস ছিল। এ ক্রাইসিসগুলো থেকে উত্তরণে, কতটা ভালোভাবে মোকাবিলা করা যায় সে চেষ্টা করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কিছু সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, এটি তথ্য মন্ত্রণালয় করেছে। তাদের ব্যাপারে অবশ্যই কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ ছিল, তার ভিত্তিতে তারা এটা করেছে। গত ১৫ বছরে আমরা অনেক সাংবাদিকের রোল দেখেছি। তারা স্বৈরাচারের কণ্ঠস্বর ছিলেন। তারা আরেকজনের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে গ্রাউন্ড তৈরি করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে অনেক সাংবাদিক ভায়োলেন্স ইনস্টিগেট করেছেন। এগুলো নিয়ে তো ইনভেস্টিগেট হওয়া উচিত। সংবাদপত্র বা টেলিভিশনের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো কাজ সরকার করছে না।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
আজকালের খবর/ এমকে