সমাজে এমন কিছু অসাধু প্রকৃতির কুচক্রি মহল আছে, যারা সুযোগে স্বভাবিক জীবন যাপনকে অস্বাভাবিক করে তোলে, যাদের দারা সাধারণ নাগরিক নিয়মিত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এমনই চাঞ্চল্যকর কর তথ্য বেড়িয়ে আসলো গত ০৫/০৬/২৪ ইং তারিখ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আদালত চট্টগ্রামে।
মামলার বাদী : চন্দন কুমার রায়, পিতা মৃত রবীন্দ্র চন্দ্র রায়ের দায়ের করা ১২৭৪/২৪ ইং ধারা ৪৬৭ /৪৬৮/৪৭১/৩৪ পেনাল কোড মামলা হতে। বাদী চন্দন কুমার রায়ের মামলার বিবরণী থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ভূমিতে শান্তিতে ভোগ দখলে ছিল চন্দন কুমার রায় ও তার পরিবার।
কিন্তু হঠাৎ গত ১০/০৪-২০২৪ ইংরেজি তারিখ মামলায় উল্লেখিত এক থেকে তিন নং আসামি মো. সোলায়মান পিতা মৃত বাদশা মিয়া এবং মো. রনি পিতা মৃত বাচ্চু মিয়া এবং মো. জাহাঙ্গীর আলম পিতা কবির আহম্মদ, বেলা ৩ ঘটিকার সময় লোকজন নিয়ে অতর্কিতে উত্তর পাহাড়তলী চট্টগ্রামে বাদির জমি দখলের চেষ্টা চালায় তখন সেখানে বাদী চন্দন কুমার রায়ের কেয়ারটেকার বাধা দিলে তারা তাকে মারধর করে ও কিছু দলিল হাতে দিয়ে বলে তোর মালিককে দেখা আমরা জমি ক্রয় করিয়া মালিক হইয়াছি।
কেয়ারটেকারের মাধ্যমে বাদী চন্দন কুমার দলিলাদি গত ১৫-০৫-২০২৪ ইং সাব রেজিস্ট্রি অফিস হইতে ১৩ ৩২৫ ও ১৫৯৪৭ আমমোক্তারনামা দলিলের সহি মুহুরী নকল উত্তোলন কোরিয়া জানতে পারেন বি বাদীদের জাল-জালিয়াতির চক্রান্ত। অনুকূল দাসের একমাত্র সন্তান চিত্তরঞ্জন দাস যিনি ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং এ বোমা বিস্ফোরণে মারা যান, যার প্রমাণ চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাওয়া যায়। মামলা থেকে আরো জানা যায় বিবাদীরা ভূমিদস্যু তারা অনুকূল বিহারী দাসের ভুয়া ওয়ারিশ বানিয়ে ২১-১২ এবং ২৯/০৯/২০২২ তারিখে ১৩৩২৫ ও ১৫৯৪৭ আমমোক্তারনামা রেজিস্ট্রি করে অরুণ বিহারী দাস নামে এক ব্যক্তিকে ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে।
মামলা থেকে প্রাপ্ত তথ্য জ্ঞপ্ত হইয়া চন্দন কুমার রায়ের সাথে যোগাযোগ করিলে তিনি গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংস্থাকে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন ।তার আলোকে বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য।
বিগত সরকার আমলে ভূমিদস্যু ও প্রতারক চক্র এত বেশি ছিল যার দরুন সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে বা আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাইনি তারি বহিঃপ্রকাশ এই ঘটনা।
চন্দন কুমার রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রঙ্গন নাগরিক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন মানবাধিকার সংস্থার পক্ষে একটি তদন্ত টিমকে সরজমিনে অনুসন্ধানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। গত ০১/০৮/২৪ ইং রঙ্গন নাগরিক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন মানবাধিকার সংস্থার দুই কর্মকর্তা জনাব এলিও সরকার ও এম, শামিম চৌধুরী গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানায় অনুসন্ধানের জন্য অবস্থান করে।
রঙ্গন নাগরিক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গত ৩১-০৭-২০২৪ ইং যাহার স্বারক নং RNDF-07- IN- B- 002 পত্র যোগে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় অবহিত করা হয়, এবং গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক অফিসে গত ০১/০৮/২০২৪ ইং পত্র যোগে যাহার স্বারক নং RNDF - 07-INB- 001 মাধ্যম অবহিত করা হয়।
এরপর গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানা এলাকায় সরজমিনে অনুসন্ধান করা হয় এবং ভূমি দস্যু ও জাল জালিয়াতির প্রতারক চক্রের অভিনব কৌশলের রহস্য উম্মচিত হয়।
অনুসন্ধানী দল প্রথমে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হই, সেখানে সকাল দশটায় কোন লোকজন না পেয়ে চলে যায় ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ যেখানের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান ৪ নং ইউনিয়নে বেলা ১১ টার সময় কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী না পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারে চলে যাওয়া হয় সেখানে এক ওষুধ বিক্রেতার দোকানে আলাপ কালে জানা যায় তার নাম মো. মকবুল হোসেন এবং তার স্ত্রী সাবেক ইউপি সদস্য ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ আলোচনার মাঝে অরুণবিহারী দাশের ছবি দেখালে তিনি অত্যন্ত হাস্য উজ্জ্বল ভাবে জানালেন এই ছবির আসল ব্যক্তির নাম সূর্য লাল সরকার পিতা, শূকলাল সরকার নামে জানি এবং চিনি , তিনি আরো জানান যে কয়েক মাস আগে ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. আতিকুর রহমানকে সাতে করে এসেছিল আমাকে সনাক্তকারী হিসেবে রাজি করানোর জন্য কিন্তু আমি মকবুল সাহেব স্পষ্ট বলেছি এই জাল-জালিয়াতি ও প্রতারনার কাজে আমি কোন শনাক্তকরণ করতে পারবো না। তিনি স্পষ্ট জানান সূর্য লাল সরকারের আসল ভোটার আইডি গোপন করে অরুণবিহারী দাশ,ছদ্মনাম ব্যবহার করে মাস্টার আতিকুর রহমানের চক্রান্তে চট্টগ্রামে প্রতারণার ফাঁদ পেতে ভূমি ক্রয় বিক্রয় করার পাঁয়তারা করছে। মকবুলের সাথে কথা বলার সময় ফার্মেসিতে উপস্থিত হন ৪ নং গজারিয়া বাজার ইজারাদার মোঃ আনারুল তাকেও অরুণ বিহারীর ছবি দেখালে তিনিও জানান এই ব্যক্তি সূর্য লাল সরকার অরুণ বিহারী দাশ নয় অরুণ বিহারী দাস ছদ্মনাম।
এরমধ্যে অত্র ইউনিয়নের দফাদার রুপা দাস সেও মকবুলের দোকানে ওষুধ ক্রয়ের জন্য আসে এবং তখন মকবুল সাহেব আমাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আমরা তাকে ভাবে প্রশ্ন করতে থাকি কিন্তু তিনি এড়িয়ে যেতে থাকেন এক প্রকার উপস্থিত ক্রেতা ও মকবুলের সহযোগিতায় আসল রহস্য বলতে আরম্ভ করেন তিনি জানান চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান ও ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাস্টার আতিকুর রহমান সূর্য লাল সরকার ও চট্টগ্রামের কিছু লোক রানা গংদের সুপরিকল্পনায় এই চক্রান্ত করার সকল নথিপত্র আমি রূপাদাশ তৈরি করে চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান কে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়েছি যার ফলে মাস্টার মোট অংকের টাকা খরচ করেন অরুণ বিহারী দাস নামে ভুয়া ছদ্মনামের এন আই ডি তৈরি করে চট্টগ্রামে অরুণ বিহারি দাশ কে মালিক সাজিয়ে জমি বিক্রি করতে পরিকল্পনা করা হয়।
রুপা দাস আরো জানান এই চক্রের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাস্টার আতিকুর রহমান মুখ্য ভূমিকা পালন করেন এবং তিনি চেয়ারম্যান কে দিয়ে সূর্য লালকে এই কাজে বাধ্য করেছেন বিনিময় মোটা অংকের অর্থের লোভ দিয়ে কাজ করাচ্ছে সূর্যের আলোকে দিয়ে।
অনুসন্ধানের এক ফাকে রুপা দাসকে আরো প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান উক্ত চক্রান্তের সকল ফাইলপত্র ও গোপনীয় কাজকর্ম চেয়ারম্যান খোরশেদ আলি খান তাকে দিয়েই করান তাই তিনি সকল প্রকার তথ্য জানেন।
অনুসন্ধানের পুর্বে মকবুলের আশেপাশের কিছু লোকজন কেউ জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানা যায় এই ছবির লোক সূর্য লাল সরকার। মামলায় উল্লেখিত ঠিকানা অর্থাৎ ৪ নং গজারিয়া ইউনিয়নের ঝানঝাইর গ্রামঃ যমুনা নদীর পাড়ে অবস্থিত ঐ গ্রামের চৌকিদার নয়ন নাপিতের সহযোগিতা নিতে বাধ্য হইয়া জানতে পারলাম সূর্য লাল সরকার বা অরুণ বিহারী দাস এই নামেও কেউই এখানে বসবাস করে না আগে পূর্বেও করেনি। আমরা এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলাম তার মুটো ফোনে ফোন করে তাকে না পেয়ে বাধ্য হলাম রুপা দাসকে জানাতে রুপা দাস আমাদেরকে জানালো চেয়ারম্যান সাহেব এখন খুব ব্যস্ত পরে উনি আপনাদের সঙ্গে কথা বলবেন । চেয়ারম্যান সাহেবকে যোগাযোগ করে না পেয়ে আমরা উপস্থিত হলাম ফুল ছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেখানে আমরা উপস্থিত পেলাম নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস সুবাহান ও তার সহকারি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে আমরা এ বিষয় সম্পর্কে জানালে তারা জানানোর চেষ্টা করেন অরুণ বিহারী দাস এবং সূর্য লাল সরকার একই ব্যক্তি, দুই নামে দুইটি ভোটার আইডি কার্ড যাহার প্রমাণ আমরা উপজেলা নির্বাচন অফিসে পেলাম তারা আমাদেরকে জানালেন কখনো কখনো স্থানীয় দলীয় নেতা ও উপর মহলের চাপের মুখে এই ধরনের প্রতারণার কাজে শামিল হতে হয় কিন্তু তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করলেন দ্বিতীয় যে ভোটার আইডি কার্ডটি হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ অবৈধ যাহা আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করিলে দ্বিতীয় অরুনবিহারী নামের ভোটার আইডি কার্ডটি বাতিল করা যাইতে পারে।
এ সকল তথ্য সংগ্রহের পর আমরা চেষ্টা করি ফুলছড়ি সরকারি পাইলট স্কুলের মাস্টার আতিকুর রহমান ও ছদ্ম নামধারী অরুণবিহারী দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তারা আমাদেরকে দেখা করার জন্য ঠিকানা দেন সিরাজগঞ্জ গোল চত্বরে ন্যাশনাল রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য জানায়। আমরা সেখানে রঙ্গন নাগরিক ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর জনাব এলিও সরকার এবং এম শামীম চৌধুরী সঙ্গে গণমাধ্যম কর্মীরসহ গত ১৯-০৮-২৪ ইং তারিখে উপস্থিত হই , বেলা ১২ টা থেকে দুইটার মধ্যে ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমান ও ছদ্ম নামধারী অরুণ বিহারী দাস এবং সঙ্গীয় মোহরি মোহাম্মদ আয়নাল এবং ফিরোজ নামের এক লোকের সঙ্গে নির্ধারিত জায়গায় দেখা হয়। স্কুল মাস্টার আতিকুর রহমান সাহেব ও অরুণ বিহারী দাস আমাদের কাছে তাদের চক্রান্তের ও প্রতারণার সকল ফাঁদ স্বীকার করেন এবং আমাদের কে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন । এবং তাদের কাছে যখন জানতে চাওয়া হলো এত সাহস ও আত্মবিশ্বাস কি ভাবে পেলেন, তারা জানালো পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট আমরা অর্থের বিনিময়ে আমাদের পক্ষে করিয়েছি, কিন্তু একটি প্রশ্ন থেকে যায় মহামান্য আদালতে প্রেরন করার আগে বিবাদীদের হাতে কিভাবে পিবিআই তদন্ত রিপোর্ট আসলো। তখন আমরা কৌশলে তাদের প্রভাবিত করার প্রস্তাব কিছু সময়ের জন্য মেনে নিয়ে পিবিআই তদন্তের কপিটি আমরা সংগ্রহ করি এবং অন্যান্য সকল তথ্যাদি নথি সহ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়, আমাদের অনুসন্ধানে তাদের প্রতারণা ও চক্রের সকল তথ্য উপাধ্য প্রমাণাদি আমাদের সংগৃহীত হয় এই চক্রের দ্বারা দেশের বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন সময়ে প্রতারিত হয়েছেন সাধারণ অনেক মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে এ বিষয়ে উপনীত হওয়া যায় সাধারণ মানুষের দাবী এমন চক্রান্তকারীদের অতিসত্বর আইনের আওতায় নিয়ে শাস্তি দিলে আগামীতে কেউ আর ভুক্তভোগী হবে না।
আজকালের খবর/বিএস
গাজায় ‘ব্যাপক’ স্থল হামলা শুরু করল ইসরায়েল
পরিস্থিতি তৈরি করে ভিডিও ধারণ, চাঁদাবাজি: রাবি শিক্ষকের দাবি 
আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইশরাকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে
প্যানিক অ্যাটাকে ইবি শিক্ষার্থী, নেপথ্যে যা জানা গেছে
নায়িকা নুসরাত ফারিয়া আটক
বদলগাছীতে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস পালিত
সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুলসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, ১১ জন আটক