ইসরায়েলের অভ্যন্তর ও ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেম থেকে জাতিসংঘের ত্রাণ ও সহায়তা সংস্থা- (ইউএনআরডব্লিউএ) নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে দেশটিতে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
এতে করে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর সহায়তায় জাতিসংঘের এই ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) গাজা উপত্যকায় যে ত্রাণ ও ওষুধ সরবরাহ করতো, তা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
ইউএনআরডব্লিউএ-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ পাশ্চাত্যের দেশগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলের সংসদে এই নিষেধাজ্ঞা পাস হলে ৩ মাসের মধ্যে জাতিসংঘের এই ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, সোমবার (২৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ‘নেসেট’-এ ইসরায়েলের ভেতর ও ইসরায়েল অধিকৃত জেরুজালেম এলাকা থেকে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ত্রাণ ও শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।
ভোটে এই বিল পাস হলে আগামী ৩ মাসের ভেতর ইসরায়েল ও অধিকৃত এলাকা জেরুজালেম থেকে আর ত্রাণ সরবরাহ করতে পারবে না ইউএনআরডব্লিউএ। এতে করে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। এর ফলে অবরুদ্ধ গাজায় চরম মাত্রায় মানবিক সংকট তৈরি হবে।
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে অভিযোগ আনা হয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ-এর কর্মীরা ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন। সে কারণে ইসরায়েলের ভেতর থেকে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
সংস্থাটি ইসরায়েলের সেনাবাহিনী আইডিএফের সহায়তায় গাজা উপত্যকায় এতদিন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তেনিও গুতেরিস ভীষণ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রধান অ্যান্তেনিও গুতেরিস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই আইন বাস্তবায়ন করা হলে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়াসহ শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়টি একেবারে ভেঙে পড়বে।
ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ্পি ল্যাজারিনি বলেছেন, এতে করে ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তি আরো চরম আকার ধারণ করবে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ইসরায়েলের এই প্রক্রিয়াকে ‘পুরোপুরি ভুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার বলেছেন, ইসরায়েলের এই আইন ফিলিস্তিনিদের জন্য যে জরুরি ত্রাণ সহায়তা চালানো হতো, তা পুরোপুরি অসম্ভব হয়ে যাবে।
আজকালের খবর/ এমকে