প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪, ৫:২০ PM আপডেট: ১০.১০.২০২৪ ৫:২৯ PM

২০২৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার পর তার নাম ঘোষণা করা হয়। তার দারুণ কাব্যময় গদ্যের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে, যা ঐতিহাসিক ক্ষতগুলোকে সাহসিকতার সঙ্গে তুলে ধরে এবং মানব জীবনের ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করে।
হান কাং ১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াংজু শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৯ বছর বয়সে পরিবারসহ সিউলে চলে যান।
তিনি একটি সাহিত্যিক পরিবার থেকে এসেছেন। তার বাবা একজন স্বনামধন্য ঔপন্যাসিক। তাই তিনি একটি সাহিত্যিক পরিবেশেই বেড়ে ওঠেন। লেখালেখির পাশাপাশি হান কাং শিল্প ও সঙ্গীতের প্রতিও গভীরভাবে আকৃষ্ট, যা তার সমস্ত সাহিত্যিক কাজেও প্রতিফলিত হয়েছে।
১৯৯৩ সালে হান কাং প্রথমে কবিতা দিয়ে তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন, যা ‘লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৯৫ সালে তার প্রথম গদ্যসংকলন ‘লাভ অব ইয়োসু’ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি একের পর এক উপন্যাস ও ছোটগল্প প্রকাশ করেন। তার উল্লেখযোগ্য একটি উপন্যাস হলো ২০০২ সালে প্রকাশিত ‘ইউর কোল্ড হ্যান্ডস’। সেখানে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও ব্যক্তিত্বের মধ্যে দ্বন্দ্বের চিত্র ফুটে উঠেছে।
হান কাংয়ের আন্তর্জাতিক সাফল্য আসে ২০০৭ সালে প্রকাশিত উপন্যাস ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’-এর মাধ্যমে, যা তিনটি অংশে লেখা। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ইয়ং-হাই যখন খাদ্যাভ্যাসের সামাজিক নিয়ম মেনে চলতে অস্বীকৃতি জানায়, তখন এর সহিংস পরিণতির কাহিনি তুলে ধরা হয়।
হান কাংয়ের সাহিত্যিক কাজগুলোতে শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা গভীরভাবে মিলে যায়, যা প্রাচ্য দর্শনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তার প্রতিটি রচনায় তিনি মানব জীবনের ভঙ্গুরতাকে প্রকাশ করেন, যেখানে দেহ ও আত্মা, জীবিত ও মৃতের মধ্যকার সম্পর্ককে অনন্যভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
তার কাব্যময় ও পরীক্ষামূলক লেখার শৈলীতে তিনি আধুনিক গদ্যের একজন উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত হয়েছেন।
সূত্র: নোবেল ফাউন্ডেশন।
আজকালের খবর/ওআর