প্রকাশ: বুধবার, ২ অক্টোবর, ২০২৪, ১০:২৩ এএম

নাক ডাকা, এই অনিচ্ছাকৃত এবং উদ্ভট শব্দ ঘুমের সময় তৈরি হয়। তবে সবার ক্ষেত্রে নয়, কেবল এই সমস্যায় আক্রান্তদের ক্ষেত্রেই এটি ঘটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির চেয়েও এটি বেশি বিরক্তিকর তার আশেপাশের মানুষের জন্য। নাক ডাকার শব্দ আশেপাশের ব্যক্তিদের অনিদ্রার কারণ হতে পারে। বাতাস আমাদেরর শ্বাসনালী দিয়ে যাওয়ার সময় যদি তা আংশিকভাবে অবরুদ্ধ থাকে তখন এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, শ্বাসনালীর উপরের টিস্যুগুলো একে অপরকে স্পর্শ করে এবং কম্পন করে, যা আপনাকে নাক ডাকতে বাধ্য করে। যদিও আমরা সবাই কোনো না কোনো সময়ে নাক ডাকি, যার মধ্যে শিশুরা হালকাভাবে নাক ডাকে। তবে যারা ঘন ঘন এবং জোরে নাক ডাকে তাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত কারণ এটি কোনো রোগেরও লক্ষণ হতে পারে।
নাক ডাকা অনেক সময় শরীরের গঠনের কারণে হতে পারে। নারীদের তুলনায় পুরুষদের নাক ডাকার সম্ভাবনা বেশি। গলা বা ঘাড়ে অতিরিক্ত ওজনও অনেক সময় নাক ডাকার কারণ হতে পারে। নাক ডাকার সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ), অবরুদ্ধ শ্বাসনালী, স্থূলতা, এমনকী অপরিমিত ঘুম।
আপনার যদি এ ধরনের সমস্যা থাকে তাহলে জেনে নিন এ থেকে মুক্তির উপায়-
পাশ ফিরে ঘুমানআপনার ঘুমানোর অবস্থান নাক ডাকার সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, পাশ ফিরে ঘুমানোর পরিবর্তে চিৎ হয়ে ঘুমানোর সময় নাক ডাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নাক ডাকা শরীরের অবস্থানের চেয়ে মাথার অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে এবং মাথা ডান দিকে ঘুরিয়ে দিলে এটি কম হতে পারে। সুতরাং, এর একটি সমাধান হতে পারে পাশ ফিরে ঘুমানোকে প্রাধান্য দেওয়া এবং ঘুমের অবস্থানকে অনুকূলে রাখতে বালিশ ব্যবহার করা। এই ভঙ্গিটি বাতাসকে সহজে প্রবাহিত করতে এবং নাক ডাকা কমাতে পারে।
নাক পরিষ্কার করা
অত্যধিক নাক ডাকার সমস্যায় লবণ পানির দ্রবণ দিয়ে নাক ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। ঘুমানোর আগে হালকা গরম পানিতে গোসলও অনেকাংশে সাহায্য করতে পারে। নাকের ভেতেরের অংশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণ হ্রাস সামগ্রিক সুস্থতার জন্যই প্রয়োজনীয়। এটি নাক ডাকা কমাতে এবং ঘুমের উন্নতি করতে পারে। আপনি যখন ওজন কমিয়ে ফেলবেন, সারা শরীরে একটি স্লিমিং প্রভাব অনুভব করবেন। স্লিমিং ডাউন গলার অতিরিক্ত ভর বা টিস্যু অপসারণ করতে পারে যা নাক ডাকার কারণ হতে পারে।
ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
ভারী এবং মসলাদার খাবার খাওয়ার আগে চিন্তা করুন কারণ এটি আপনার নাক ডাকা এবং আপনার প্রিয়জনের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, শোবার আগে ভারী খাবার খাওয়া বা ঘুমানোর আগে দুগ্ধজাত খাবার বা সয়া মিল্ক খাওয়া, নাক ডাকা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এটি হতে পারে কারণ আপনি যখন পূর্ণ পেটে শুয়ে থাকেন, তখন পাকস্থলীর অ্যাসিড আপনার খাদ্যনালীতে ফিরে যেতে পারে, যা আপনার গলায় প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।
ভেষজ প্রতিকার
নাক ডাকা উপশম করার ক্ষেত্রে আপনার উদ্ধারে আসতে পারে পিপারমিন্ট অয়েল, টি ট্রি অয়েল এবং ইউক্যালিপটাস অয়েল। এগুলো স্বাভাবিকভাবে নাকের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনাকে জোরে ও অস্বস্তিকর নাক ডাকা থেকে বিরত রাখতে পারে।
আজকালের খবর/ এমকে