সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা এক মামলায় চট্টগ্রামের পটিয়াতে সনাতন ধর্মাবলম্বী এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কিছু মানুষ থানার সামনে জড়ো হয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায়। তারা নিজেরা শাস্তি দিবে বলে দাবি করছিল।
এ দাবিতে থানার ভেতরে ও সামনে অবস্থান নেয় শতাধিক মানুষ।
পুলিশ তাদের সেই দাবি না মানলে থানায় ভাংচুর এবং সেনাবাহিনীর গাড়িতে হামলা করা হয়। সেই সময় এক সেনা সদস্যও এতে আহত হন বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ ওঠে পটিয়ার বাসিন্দা পার্থ বিশ্বাস পিন্টুর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পিন্টুর ফেসবুক থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিয়ে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার পটিয়া থানায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ধর্মের অবমাননার উদ্দেশ্যে প্রতিহিংসা-বশত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে কটূক্তি করত ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করার অপরাধ।
মামলাটি করেছেন পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের একজন অ্যাম্বুলেন্স চালক।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করে। তারা অভিযুক্ত পিন্টুর শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানও দেয়।
সোমবারই দুপুর একটায় চট্টগ্রাম মহানগরীর সদরঘাট থানা এলাকা থেকে পার্থ বিশ্বাস পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চট্টগ্রামের পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তার এ পোস্টের কারণে এলাকায় বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ মানুষরা ক্ষেপে গেছিল। তারপরে তারা তার বিরুদ্ধে যখন রেগুলার পিটিশন দিয়েছে আমরা রেগুলার মামলা নিয়েছি। দ্রুততম সময়ে আমরা তাকে অ্যারেস্ট করেছি ।
এদিকে পিন্টুকে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং মুসল্লিরা থানার সামনে জড়ো হয়ে তাকে তাদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি করতে থাকে। কিন্তু পুলিশ তাকে তাদের হাতে তুলে দিতে রাজী হয়নি।
ওসি বলেন, স্থানীয় কিছু লোকজন চাচ্ছিলো তাদের হাতে দিয়ে তারা নিজেরা পানিশমেন্ট দিবে এ ধরনের দাবি জানাচ্ছিল। এটা তো আমাদের প্রচলিত আইন পরিপন্থী। আমি তাদের হাতে তুলে দিতে পারি না।
অভিযুক্ত ওই যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। খবর: বিবিসি বাংলা
আজকালের খবর/বিএস