প্রকাশ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৩:৩০ PM
সারা দেশে 'বিচারবহির্ভূত হত্যা' এবং মব জাস্টিস বন্ধসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রগতিশীল শিক্ষর্থীরা।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্তর থেকে একটি মিছিল বের হয় শহিদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে চার দফা দাবি জানান৷
দাবি গুলো হলো : সারা দেশে 'বিচারবহির্ভূত হত্যা' এবং মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার হত্যার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।নিরাপত্তা শাখায় কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে শামীম মোল্লাকে মারধরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা শাখা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের ভূমিকা তদন্ত করতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৫ ও ১৭ জুলাইয়ে হামলাকারীদের নামে মামলা করতে হবে।
মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসিব জামানের সঞ্চালনায় বক্তারা বক্তব্য রাখেন। এসময় হাসিব জামান বলেন, শামীম মোল্লার হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচার চাওয়া দুইজন শিক্ষাককে আবার তদন্ত কমিটিতে নিয়োগ দেওয়াতে সন্দোহ পোশন করি। অতিদ্রুত সুষ্ঠু বিচার করার জন্য এই কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন এক কমিটি চাই এবং প্রশাসনের কাজ থেকে সুষ্ঠু বিচার চাই।
মানববন্ধন বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হান কবির রাসেল বলেন, গত ৫ তারিখে স্বৈরাচারী শাসকের মৃত্যুর পর একের পর একের মৃত্যু কেনো। মব জাস্টিস মধ্যমে নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙ্গে কারা হত্যার করলো এবং সে সময় নিরাপত্তা কর্মীরা কোথাও ছিলো। এছাড়া অন্য একটি হত্যা মামলায় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন উপস্থিত থাকে এবং তার উপস্থিততে পরও মারধর করে কিভাবে শামীম মোল্লাকে মারা হয়। প্রক্টর অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ নেই কারণ সেটি নাকি নষ্ট।
নাটক ও নাট্যতত্ত্বের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়ার পরও আজ আমরা অনিরাপদ, এ অনিরাপদ বাংলাদেশ চাই না।বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি মব জাস্টিস করতে চায়, অস্থিতিশীল করতে চায় তাদেরকে এই ক্যাম্পাসে চাই না। ১৮ তারিখ প্রক্টর অফিসে একজন লোককে পিটায় মারে নিরাপত্তা কর্মীদের সামনে তার ব্যবস্থা এখনো করতে পারেন নাই প্রশাসন। যে মাদকের জন্য আমরা আন্দোলন করেছি সেই মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো যারা ১৫ জুলাইয়ে হামলা ও মাদকের সাথে জড়িত ছিলো তাদের তালিকা এখনো প্রকাশ করতে পারেন নাই, অতিদ্রুত সেই তালিকা প্রকাশ করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা গণধোলাই শিকার হোন। পরে শিক্ষার্থীরা ও প্রশাসন তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ হেফাজতে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজকালের খবর/বিএস