প্রকাশ: বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৯:০২ PM
চকলেট হিরো জাফর ইকবাল পরবর্তী আধুনিক বাংলাদেশি সিনেমার প্রথম সুপারস্টার নায়ক সালমান শাহ বেঁচে থাকলে আজ তার ৫৩ পেরিয়ে ৫৪ বছরে পা রাখতেন। ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর এই দিনে সিলেটের দরিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার এই ধ্রুবতারা। মাত্র এক দশকের ক্যারিয়ারে বড় পর্দায় তার যাত্রা শুরু সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। ১৯৯৩ সালে ছবিটি মুক্তির পর রাতারাতি তারকাখ্যাতি পান সালমান শাহ। বিশেষ করে তরুন দর্শকের মণিকোঠায় ঠাঁই করে নেন এই চিত্রনায়ক। তরুন এই নায়কসহ একই বছর তৎকালীন জাতীয় স্টোডিয়ামে আয়োজিত হয় পরিচালক-শিল্পীদের মধ্যে একটি চ্যারিটি ক্রিকেট ম্যাচ। ওই ম্যাচে খেলার এক পর্যায়ে সালমান ছোট্ট একটি সাক্ষাতকার দেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম স্বপনের ভিডিও ক্যামেরায়।
তিনি সেখানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিল্পী সমিতিকে নিয়ে। বলেন, শিল্পী সমিতি আজকে যে কাজটি করেছে এটা খুবই ব্রাদারহুড একটা উদ্যোগ। এটা শিল্পীদের মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ আরো দৃঢ় করতে ভূমিকা নিবে। এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে এটা প্রত্যাশা করবো। এ সময় তিনি শিল্পী সমিতিকে ভবিষ্যতেও মিলেমিশে এক পরিবার হয়ে থাকার আহ্বান জানান।
তবে সালমান শাহ আজ নেই। নেই তার আশাবাদের সেই শিল্পী সমিতিও। এখন এই সমিতি বহুধাবিভক্তি আর কোন্দলে ছন্নছাড়া। এখানে শিল্পচর্চার চেয়ে মাসল পাওয়ারের চর্চা চলে। সিনিয়র শিল্পীরা এমুখো হন না খুব সহজে। কাজ নেই। আড্ডায় তাই অতীত স্মৃতিচারণ আর পরনিন্দায় পয়োমন্ত হয়ে উঠেছে শিল্পী সমিতি। প্রকৃত শিল্পী বাদে অপরিচিত মুখের নেতৃত্বে ছয়লাব শিল্পী সমিতিকে জাতীয় পর্যায়ে কেউ আর তেমন চেনেন না। চিনলেও খুব বেশি পাত্তা দিতে চান না। কারণে শিল্পী সমিতির নেতৃত্বে অতীতে যেমন ডাকসাইটের অভিনেতাদের দাপট দেখা যেতো, এখন সেটা আর নেই। ফলে জাতীয় পর্যায়ে সেই সুনামটাও আর নেই। এখনকার নামধারী শিল্পীরা প্রশাসন আর দোকান উদ্বোধন করেই অভিনয় সত্ত্বাকে জাহির করছেন। এরা কদাচিৎ অভিনয় করছেন আর বাকি সময় তদবির আর বিদেশ ভ্রমনে ব্যস্ত। ফলে সালমান শাহ’র গৌরবের সেই শিল্পী সমিতি এখন নামকাওয়াস্তে শিল্পী সমিতির নামধারী সাইনবোর্ডের এক আস্তানার নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজকালের খবর/আতে