চলছে রুপা আমন আবাদের মৌসুম। অনেক কৃষকই আবাদ শুরু করেছেন আবার অনেকে শেষ সময়ে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দেশের বেশ কিছু এলাকায় ভারী বর্ষণ, অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে বীজতলা তৈরি করে চারা রোপণ করা ছিলো খুবই কঠিন। এর ফলেই ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার নান্দাইল রোড বাজার সহ বেশ কিছু আঞ্চলিক বাজারে জমে উঠেছে ধানের চারা বিক্রির হাট।
এছাড়াও বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের কারণে অনেক বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। তাই চাষিদের ভরসা করতে হচ্ছে চারা বিক্রির হাটে আনা বিভিন্ন জাতের চারার উপর। হাট থেকে চারা কিনে জমিতে রোপণ করছেন প্রান্তিক কৃষক।
উপজেলায় কয়েকটি ধানের চারা বিক্রির হাট থাকলেও নান্দাইল রোড বাজার ধানের চারা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বিখ্যাত। সেখান থেকে চাষিরা চারা কিনে নিয়ে জমিতে রোপণ করছেন।
গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নান্দাইল রোড বাজার ঘুরে দেখা যায়, জাত ভেদে আটি হিসেবে চারা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। সাদা পোলাউ, বাইশ, স্বর্ণা, গোল এরী সহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ক্ষমতা সম্পন্ন ধানের চারা বাজারে বিক্রয় করতে এসেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আঞ্চলিক কৃষক।
ধানের চারা বিক্রি করতে আসা গাংঙ্গাইল ইউনিয়নের জলহরী গ্রামের কৃষক মো. হাবিবুর রহমান আজকালের খবরকে জানান বাইশ, স্বর্ণা, ‘গোল এরীর প্রতি আটি ৮০ টাকা বিক্রি করছি।’
আরেক কৃষক আব্দুল হেলিম বলেন, এবারের চারার সাইজ ভালো এবং রোগাক্রান্ত না। ফলে এই চারা থেকে ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাদা পোলাউ ধানের চারা বিক্রি করতে আসা মুসল্লী ইউনিয়নে কৃষক জুয়েল মিয়া জানায়, তিন আটি বিক্রি করছি ৩০০ টাকায়। এই তিন আটি দিয়ে ১০ শতাংশ জমি রুপন করা যাবে।
চারা কিনতে আসা পৌর সদরের কৃষক মো. বিল্লাল মিয়া বলেন, আমাদের যে চারা ছিল তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় হাট থেকে চারা কিনতে হচ্ছে। ৮০ শতাংশ জমি রোপণের জন্য চারা কিনতে এসেছি।
নান্দাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্র ছিল ২২ হাজার ৪১০ হেক্টর। এখন পর্যন্ত রুপা আমন আবাদ হয়েছে ২২ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। চাষিদের সঠিক পরার্মশ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে রুপা আমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
আজকালের খবর/ এমকে