পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল পাঁচটি স্তরে বিন্যস্ত। স্তরগুলো হল ট্রপোমণ্ডল, স্ট্র্যাটোমণ্ডল, মেসোমণ্ডল, তাপমণ্ডল এবং এক্সোমণ্ডল। স্ট্র্যাটোমণ্ডলের মধ্যে ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার উচ্চতায় অক্সিজেনের তিনটি পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত ওজোন গ্যাসের একটি ঘনস্তর বলয়রূপে পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। এই ঘন স্তরটিকে ওজোন স্তর বা ওজোনোস্ফিয়ার বলা হয়। ওজোন অর্থ গন্ধ পাওয়া। বাতাসের মধ্য দিয়ে গ্যাসটি প্রবাহিত হলে একটি গন্ধ অর্জন করে। ডাচ পদার্থবিদ এম. ভ্যান মারুম ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে ওজোন গ্যাস আবিষ্কার করেন। পরবর্তীতে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি পদার্থবিদ চার্লস ফ্যাব্রি ও হেনরি বুইসন ওজোন স্তর আবিষ্কার করেন। ওজোন স্তর মূলত দুটি, এর একটি পাওয়া যায় ট্রপোমণ্ডলে যেটি খারাপ স্তর নামে পরিচিত। অপর স্তরটি বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোমণ্ডলে অবস্থিত যেটি ভালো ওজোনস্তর হিসেবে পরিচিত। বায়ুমণ্ডলের এই ওজোন স্তর সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে পৃথিবীতে প্রবেশ করতে বাঁধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীর জন্মলগ্নে ওজোন স্তর ছিল না।
পৃথিবীর জন্মের প্রায় ২৫০ কোটি বছর পরে ওজোন স্তর সৃষ্টি হয়েছে। স্ট্র্যাটোমণ্ডলে সৃষ্ট এই ওজোন স্তরটির পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমীভেদেও ভিন্ন হয়ে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করে যে ওজোন স্তরটি পৃথিবীর জীবজগতকে রক্ষা করছে সেই হিরণ্নয় বর্ম স্তরটিই পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান মানুষের উচ্চাভিলাষী জীবনযাপন পদ্ধতির ফলে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওজোনস্তর সৃষ্টি না হলে পৃথিবীতে প্রাণবৈচিত্র্য টিকে থাকত না। ওজোন ফ্যাকাশে নীল রঙের বিস্ফোরণধর্মী একটি গ্যাস হওয়া সত্ত্বেও জীব জগতের বেঁচে থাকার জন্য এটি অপরিহার্য। সূর্য থেকে যে অতিবেগুনী রশ্মি বের হয় তাতে তেজস্ক্রিয় ও বিপজ্জনক রশ্মি ‘ইউভি-বি’ এবং ‘ইউভি-সি’ থাকে যা ওজোন স্তর শোষণ করে নেয়। এই ক্ষতিকর রশ্মি দুটিকে ওজোনস্তর শোষণ না করলে সরাসরি পৃথিবীতে চলে আসত। মানুষ আক্রান্ত হতো ত্বকের ক্যানসার, ব্রঙ্কাইটিস, অ্যজমা, প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস, হাড়ের দুর্বলতা সহ নানাবিধ জটিল ও কঠিন রোগে। এ রশ্মির কারণেই চোখের ছানি পড়া রোগ হয়। এই রশ্মি শুধুমাত্র মানব স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে তাই নয়, পাশাপাশি প্রাণীজগৎ, অনুজীব ও বায়ুমণ্ডলের গুণগত মানের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রাকৃতিক খাদ্যশৃংখল। ওজোন স্তরের প্রাকৃতিক এই সৌর পর্দাটির ঘনত্ব ২০০ ডবসন এককের চেয়ে কম হলে তাকে ওজোন গর্ত বা গহ্বর বলে। ওজোন স্তরের এই গর্ত বা ক্ষত সৃষ্টি হয় মানুষের কর্মের দ্বারা।
ব্রিটিশ আবহাওয়াবিদ জিএমবি ডবসন ওজোনস্তর নিয়ে গবেষণা করে জানান বায়ুমণ্ডলে ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (সিএফসি) গ্যাস ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে ওজোনস্তর ক্ষত হচ্ছে। গত ৩ সপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইনভায়রনমেন্ট এজেন্সির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দক্ষিণ গোলার্ধে ওজোনস্তরে ষষ্ঠ বৃহত্তম গর্ত তৈরি হয়েছে যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। ওজোনস্তর সৃষ্টি ও বিনাশ যদিও একটি প্রাকৃতিক ঘটনা কিন্তু মানুষের উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের কারণে বায়ুমণ্ডলে ক্রমাগত সিএফসি গ্যাস বেড়েই চলেছে। হিমঘর, শীতাতপনিয়ন্ত্রক, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবহন এবং অ্যারোসল স্প্রে প্রভৃতিতে ব্যবহৃত সিএফসি গ্যাস, অগ্নিনির্বাপণ হিসেবে ব্যবহৃত ব্রোমিন সমৃদ্ধ হ্যালন গ্যাস, মিথাইল ক্লোরোফর্ম প্রভৃতির সংস্পর্শে ওজোন অনু চিরস্থায়ী ভাবে ভেঙে অক্সিজেন অনু ও পরমাণু সৃষ্টি করে। এর ফলে ওজোনস্তর ক্ষতি সাধিত হয়। এর পাশাপাশি বজ্রপাত, অগ্নুৎপাত, আলোক রাসায়নিক বিক্রিয়া, অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাব ইত্যাদি কারণে ওজোন স্তরের ক্ষতিসাধন হচ্ছে। ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ১৬ সেপ্টেম্বর অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের উপর ওজোন স্তরে যে বড় ছিদ্রটি ধরা পড়ে বিশেষজ্ঞরা তার জন্য দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা দ্বীপপুঞ্জে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতকে দায়ী করছেন। প্রাকৃতিক কারণে ওজোনস্তরের কিছুটা ক্ষতি হলেও সেটি আবার প্রাকৃতিক ভাবেই সারিয়ে উঠে। কিন্তু মানব সৃষ্ট কারণে বায়ু দূষণের ফলে ওজোন স্তরের যে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে তা জীবজগতের জন্য হুমকি স্বরূপ। ওজোন স্তর ক্ষয়কারী গ্যাস সমূহ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে।
তাই বিশ্ববাসীকে ক্লোরোফ্লোরোকার্বন, হ্যালো কার্বন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট গ্যাসের উৎপাদন কমাতে হবে। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ মে ব্রিটিশভিত্তিক বিজ্ঞান জার্নাল নেচার অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে ওজোন স্তরে এক গহ্বর সৃষ্টির সংবাদ প্রকাশ করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখতে পান যে পৃথিবীতে ক্লোরোফ্লোরোকার্বনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ওজোন স্তরের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। ওজোন স্তরের ক্ষতি সারিয়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্ব নেতারা ওজোনস্তরের ক্ষয় সাধনকারী পদার্থসমূহের উৎপাদন ধীরে ধীরে কমিয়ে একেবারে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে কানাডার মন্ট্রিল শহরে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত করেন যা মন্ট্রিল প্রটোকল নামে পরিচিত। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি থেকে এই চুক্তি কার্যকর হয়। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দিবসটি পালন করে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওজোন স্তর সংরক্ষণ এবং এর ক্ষতির প্রভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে এই দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘জীবনের জন্য ওজোন’।
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বর্তমান পর্যন্ত বিভিন্ন সময় মোট ছয় বার এই প্রটোকলকে সংশোধনের মাধ্যমে সমন্বয় করা হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে মোট ৯৬টি দ্রব্যের ওপর নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মন্ট্রিল প্রটোকল একটি সার্বজনীন প্রটোকল কারণ প্রাথমিকভাবে ২৪টি রাষ্ট্র এই প্রটোকলে স্বাক্ষর করলেও বর্তমানে জাতিসংঘ ভুক্ত ১৯৭টি রাষ্ট্র এই প্রটোকল ও এর সংশোধনীগুলোতে অনুস্বাক্ষর করেছে। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষরের পর ওজোন স্তরের ক্ষয়কারী দ্রব্যের ব্যবহার হ্রাস করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৭ এবং ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি কর্তৃক বিশেষভাবে প্রশংস লাভ করে। গত ২০ এপ্রিল ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান জার্নাল নেচার ওজোন স্তরের ক্ষয়ের নতুন একটি কারণ হিসেবে ক্ষুদ্র কৃত্রিম উপগ্রহকে দায়ী করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। অ্যারোস্পেস করপোরেশনের বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞানী মার্টিন রসের মতে বর্তমানে হাজার হাজার কৃত্রিম উপগ্রহ পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে ঘুরছে। সময়ের সঙ্গে কৃত্রিম উপগ্রহের সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলো তৈরিতে ব্যবহৃত হয় অ্যালুমিনিয়াম, ইলেকট্রনিক পার্টস, কার্বন তন্তু, সিনথেটিক আঠা, ব্যাটারি, বিভিন্ন ধাতু যেমনÑ নিকেল, কোবাল্ট, আয়োডিন, টাইটানিয়াম, লিথিয়াম, ক্যাডমিয়াম সহ অন্যান্য দ্রব্য। মানবসৃষ্ট মহাকাশ উপগ্রহগুলো উৎক্ষেপণের পর ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে ওজন স্তরে নেমে আসে।
শেষ পর্যন্ত এসব উপাদান ওজোন স্তরের ক্ষতি ডেকে আনছে। কৃত্রিম উপগ্রহের পাশাপাশি রকেট থেকে নির্গত ব্ল্যাক কার্বনও ওজোন স্তরের ক্ষতির জন্য সরাসরি প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর পরবর্তী ওজোনস্তর রক্ষায় বাংলাদেশ ওজোনস্তর ক্ষয়কারী পদার্থের উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি বন্ধের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন ও কাজ করার মাধ্যমে সাফল্য প্রদর্শন করলেও এখনো রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক, গাড়ি ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে বিপুল পরিমাণে হাইড্রোক্লোরোফ্লোরোকার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে। সিএফসির বিকল্প হিসেবে এইচসিএফসি ব্যবহারের জন্য যে অবকাঠামো ও প্রযুক্তি প্রয়োজন তার যোগান দান বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। রেফ্রিজারেটরে সিএফসি এর পরিবর্তে এইচসিএফসি ব্যবহৃত হলেও ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়ার রেফ্রিজারেটর থেকে এইচসিএফসি স্ট্র্যাটোমণ্ডলে জমা হয়ে ওজোন স্তরের ক্ষতি করছে। কারণ সিএফসি এবং এইচসিএফসি উভয়ই শক্তিশালী গ্রিন হাউস গ্যাস। বর্তমানে ব্যবহৃত এইচসিএফসি এবং এইচসিএফসি-২২ কার্বডাইঅক্সাইডের তুলনায় বায়ুমণ্ডলকে ১৯১০ গুন বেশি উষ্ণায়িত করে। ২০৩০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বিশ্বব্যাপী এইচসিএফসি এর ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও বর্তমান সময়ে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত ননস্টিক ফ্রাইপ্যান থেকে প্রচুর পরিমাণে ওজোনস্তর ধ্বংসকারী হাইড্রোফ্লুরোকার্বন (এইচএফসি) নির্গত হয়। ওজোনস্তর ধ্বংসকারী উপাদানগুলো বিশেষ করে সিএফসি নির্গমনের উৎসগুলো বন্ধ করতে হবে এবং বিকল্প ও পরিবেশবান্ধব দ্রব্যগুলোর ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।
শিল্পোন্নত দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসলে এবং পৃথিবীব্যাপী বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে বজ্রপাত ঠেকানো গেলে বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তর রক্ষা করা সহজ হবে। পৃথিবীজুড়ে জীবকূলকে রক্ষার স্বার্থে সিএফসি, এইচসিএফসি এবং এইচএফসি গ্যাস সমৃদ্ধ যন্ত্রপাতির ব্যবহার বন্ধ করা দরকার। পৃথিবীজুড়ে অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণকারী শিল্পায়নের ফলে ওজোনস্তর ক্ষয়ের পাশাপাশি বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্র গর্ভে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আমাদের মাতৃভূমি। তাই মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন ও জীবনাচরণ পরিবর্তনে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি হতে অনুমান করা হয়েছিল ওজোন স্তরে ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে প্রথম যে ক্ষতটি শনাক্ত হয়েছিল সেটি পূরণ হতে চার দশক সময় লেগে যাবে। কিন্তু ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানীরা বলেছেন ওজোনস্তর ধ্বংসকারী ক্ষতিকারক পদার্থের ব্যবহার হ্রাস পাওয়ায় স্ট্র্যাটোমণ্ডলের ওজোনস্তরের ক্ষতটি গত পাঁচ বছরে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। এটি জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে ওজোনস্তর রক্ষার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার একটি বিশাল ‘বৈশ্বিক সাফল্য’। সমগ্র বিশ্ব সচেতন ভাবে এগিয়ে আসলে ২০৪০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থ সমূহের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
লেখক : শিক্ষক ও কলাম লেখক।
আজকালের খবর/আরইউ