আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভাষাসৈনিক অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৪ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আবদুস সামাদ ৫৩ বছর আইন পেশায় যুক্ত ছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে তিনি কারারুদ্ধ হন। দীর্ঘদিন ন্যাপের (মোজাফফর) রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। জীবনের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগও করেছেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। প্রথম সন্তান মোহাম্মদ হোসেনকে স্বাধীনতার সম্মুখ সমরে পাঠান। সেই সন্তান ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্বরোচিত ‘সেভেন মার্ডার’র শিকার।
৮৪ বছর বয়সে আবদুস সামাদ প্রয়াত হন। ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে তার স্মরণে আয়োজিত নাগরিক শোকসভায় স্মৃতিচারণ করেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আহমদ আলী, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ শান্তনু কায়সার, বাম নেতা পংকজ ভট্টাচার্য, প্রবীণ তাত্ত্বিক অজয় রায়, কূটনীতিবিদ হুমায়ূন কবির প্রমুখ। স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেছিলেন সাংবাদিক কামাল লোহানী। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি আসাদ চৌধুরী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মরহুমের দ্বিতীয় সন্তান নিউইয়র্ক প্রবাসী ওবায়দুল্লাহ আল মামুন। সেই অনুষ্ঠানের একাধিক আলোচক আজ আর আমাদের মাঝে নেই।
অ্যাডভোকেট আবদুস সামাদ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, রাশিয়া, সৌদি আরব ও ভারত ভ্রমণ করেছেন। তার রচিত গ্রন্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আমার দেখা রাজনীতির পয়ষট্টি বছর, ক্যাম্পাস থেকে গণভবন ও দ্য হিসটোরি অব ব্ল্যাক পিপল।
অ্যাডভোকেট সামাদ ১৯৩১ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মরহুম মুন্সী আমীর হোসেন মৃধা।
আজকালের খবর/আরইউ