প্রকাশ: বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪, ১:০৫ PM
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বুধবার দুপুর বারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে তাঁরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডায়না চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত সমন্বয়করা নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের নিকট চার দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো হলো
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে চালানো গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতাদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন।
২. গণঅভ্যুত্থান নস্যাৎ করতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠন কর্তৃক পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নেয়া।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র ও গণমানুষের বিরুদ্ধে হামলা ও মামলাকে বৈধতা দিয়েছে এবং যারা বারবার ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে তাদের অবিলম্বে অপসারণ ও বিচার করা।
৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের জন্য শিগগিরই সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
সমাবেশে বিচারব্যবস্থা নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর সরকার ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। প্রশাসনকে ব্যবহার করে নিরীহ জনগণ ও সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর ন্যক্কারজনক হত্যাকা- চালিয়েছে। তাঁরা নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিচার বিভাগের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার ও তার দোসরদের যত দিন না বিচার করা হবে, শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। অবিলম্বে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে এনে হাজার হাজার নিরীহ মানুষ ও ছাত্র-জনতার হত্যাকান্ডের বিচারে সাজা দিতে হবে।
আজকালের খবর/ এমকে