ভূলুয়া নদী ও তীরবর্তী এলাকায় জোয়ার ও বৃষ্টির পানির স্বাভাবিক প্রবাহের গুরুত্বপূর্ণ খালগুলোতে নানান উপায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এর মধ্যে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পাঠদান বন্ধের উপক্রম হয়েছে। ঐ ইউনিয়নে অবস্থতি পশ্চিম চরপোড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে স্বাভাবিক সময়ে তুলনায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কমে গেছে। ১৩ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিদ্যালয়সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২৬জন হলেও সোমবার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৯০জন।
বিদ্যালয়ের মাঠ-ঘাটসহ আশপাশ পানিতে ডুবে থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেনা। আবার শিশু শ্রেনিসহ অন্যান্য শ্রেনির ছোট ছোট শিক্ষার্থীদেকে জলাবদ্ধতার ভয়ে অভিভাবকরাও বাচ্ছাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছেন না। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এ অচলাবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা যায়। পানি সরানোর আপাত কোন সুযোগ না থাকায় এ দুর্ভোগ আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে জানান শিক্ষকরা।
অন্যদিকে চরগাজী ও চর আলেকজান্ডার ইউনিয়নে সাময়িক বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলোতে পানিবন্ধি থাকা এলাকাবাসী অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিয়েছে বলে উপজেলা শিক্ষা অফিসসূত্রে জানা যায়। এসব বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়াদের মাঝে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন এর নেতৃত্বে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী ও ত্রান বিতরন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীদের কয়েকজন জানান, কোমর সমান পানি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে প্যান্ট ভিজে যাচ্ছে। পিছলে পড়ে গেছে কয়েকজন। বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরে আলম মানিক জানান, ভূলুয়া নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারনে বিদ্যালয় এলাকার আশপাশ পুরোটা জলাবদ্ধতায় ডুবে রয়েছে। কোথাও কোথাও গলাসমান পানি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রেজাউল হক চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিন ধরে জলাবদ্ধতার মধ্যে বিদ্যালয় চালু রাখতে হচ্ছে। অতিরিক্ত পানি থাকায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেন না। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রুপাঞ্জলী কর জানান, শুধু এ বিদ্যালয়েই জলাবদ্ধতা নয়, আরো তিনটি বিদ্যালয় জলাবদ্ধতায় বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে আসলে আমাদের কিছু করার নেই। উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করেছি।
আজকালের খবর/ এমকে