আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ডলারসহ দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজার। এলসি করতে গিয়েও ব্যবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। দেশে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে। যা চাপ ফেলেছে ডলারের যোগানে। এ অবস্থায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ভারসাম্য আনার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
সদ্যবিদায়ী জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে যে ডলার বিক্রি হয়েছে ১১৮-১১৯ টাকায়, বর্তমানে তা ঠেকেছে ১২৪-১২৫ টাকায়। খোলাবাজারে এমন অস্থিরতার কারণ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণকেই দায়ী করছেন মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এস জামান বলেন, চলমান সংকটের মধ্যেও নির্ধারিত রেট অনুযায়ী ডলার বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে গুজব ছড়িয়ে ডলারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকিং চ্যানেলে কমেছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ।
এমন পরিস্থিতিতে পণ্য আমদানি-রফতানি করতে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, সেন্ট্রাল ব্যাংক দাম বেঁধে দিলেও মেলে না সেই দামে ডলার।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানির জন্য ব্যবসায়ীদের এলসি খুলতে হয়। এর জন্য ডলার কিনতে গিয়ে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে বর্তমানে ১১৭-১১৮ টাকায়ও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
আর অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলছেন, বাজার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডলারের দাম।
তবে প্রিমিয়াম ব্যাংকের পান্থপথ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান খান বলেন, ‘খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ১১৭ টাকা দরেই ঋণপত্র খুলতে পারছেন।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবাসী আয় সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, সদ্য বিদায়ী জুলাই মাসে ১৯০ কোটি আর জুন মাসে ২৫৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
এদিকে, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার সহনীয় রাখতে নিত্য নতুন পলিসি আর সংকটের মধ্যেও ব্যাংকগুলোকে সহযোগী হয়ে কাজ করার দাবি জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
আজকালের খবর/ এমকে