শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পত্রিকা কি খরচ ছাড়া বের হয়!
শফিক হাসান
প্রকাশ: শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৪:৩৪ PM
‘প্রকাশ’ সম্পাদনার সময় একশ্রেণির ‘সন্ধানী’ মানুষ বরাবরই আমার সঙ্গে ছিল। প্রায় সবার আবদার ম্যাগাজিনের প্রিন্টার্স লাইনে যেন নামটা রাখি। ঢেঁকি গিলতে গিলতে সেটা রেখেছিলামও, প্রিন্টার্স লাইনের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত অনেক রকম পদের ছড়াছড়ি। এর মধ্যেই এক বন্ধু আরেক কাঠি সরেস। তার দাবি- পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক বানিয়ে দিতে হবে! প্রশ্ন করলাম, কী নির্বাহ করছ যে এই পদ লাগবে?

জবাব এল- কী কী প্রকাশ করা যায় ম্যাগাজিনে, থিম দিচ্ছি তো!

শুধু থিম দিলেই হবে? লেখা জোগাড় করতে হবে না?

সেটাও করছি। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অমুক স্যারকে বলেছি, আগামী সংখ্যার জন্য লেখা দিতে।

তিনি তো এই সংখ্যাতেই আমাকে লেখা দিলেন! কালজয়ী কম্পিউটার্সের ফারুক খান সেটা কম্পোজও করে ফেলেছেন।

যে লোকটা সকাল-সন্ধ্যায় নির্বাহী সম্পাদক বানিয়ে দেওয়ার জন্য ঘ্যানঘ্যান করত সেই একদিন আমার জন্য একটা চিরকুট রেখে গেল কালজয়ী কম্পিউটার্সে। সাদা কাগজের উপরে নাম ও পদ লিখল এভাবে-

শফিক হাসান
সম্পাদক, কথা।

কিন্তু আমার ম্যাগাজিনের নাম তো কথা নয়! তখন ‘কথা’ লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতেন চট্টগ্রাম থেকে কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর। পরে আরেকটা কথার সন্ধান পাই, এটার সম্পাদক নূরুল ইসলাম বাদল, টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত হয়। সম্প্রতি তৃতীয় কথার খোঁজও পেয়েছি; এটার সম্পাদক হামোম প্রমোদ। এই ঘটনা আমাকে মারাত্মক চোট দিল। একজন মানুষ দিনের পর দিন ঘুরছে তাকে নির্বাহী সম্পাদক বানিয়ে দিতে হবে, অথচ যে পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হবে সেটার নামই জানে না!

এর কিছুদিন পরে একটা সংখ্যার কাজ শেষ করলাম। এখন প্রেসে যাওয়ার অবস্থা টাকার দরকার। বিশ হাজার টাকা অনুদান চাইলাম আমাদের নির্বাহী সম্পাদকের (!) কাছে।

তিনি বললেন, টাকা নেই।

তাহলে পত্রিকা প্রকাশ করব কীভাবে!

এবার নির্বাহী সম্পাদক প্রার্থী ব্যঙ্গ করে বললেন, টাকা না থাকলে পত্রিকা বের করার দরকার কী?
কথা তো সত্য। যুক্তি আছে তার কথায়। তবে সেই এটাও দিবালোকের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল- কোনো তাড়না বা অন্বেষণের জন্য নয় সে স্রেফ নাম ফাটানোর জন্য নির্বাহী সম্পাদক হতে চাইত। এই যে বর্তমানে দীর্ঘদিন আট বছর ম্যাগাজিনটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে আছে, সম্পাদনা পর্ষদের বিশাল লটবহরের একজনও কখনো জানতে চায়নি- কেন প্রকাশিত হবে না, কবে নাগাদ প্রকাশিত হবে! এমন মানুষও পেয়েছি, যাদের ভাষ্য ছিল- ভাই, প্রিন্টার্স লাইনে আমার নাম দিয়ে দেন। আমি কখনো পত্রিকা প্রকাশ করলে আপনার নামও দিয়ে দেব। আহা, নাম ফলানোর কী নিদারুণ তোড়জোড়, কী দারুণ তরিকা! এমন আরও আরও লোক জুটেছিল নাম প্রকাশ করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বলতে গেলে কাজের সময় তেমন কাউকেই পাশে পাই না। কিন্তু প্রচারকামী কম-বেশি সবাই।
আড়াইসিধা লিটল ম্যাগাজিনের সম্পাদক এমরানুর রেজা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তখন। তিনি আগে কী একটা ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন। বন্ধুরাসহ। কিন্তু কাজের সময় কেউই থাকত না। পত্রিকা প্রকাশ হলেই বন্ধুরা পৃষ্ঠা উল্টে প্রিন্টার্স লাইনে দেখত। নিজের নাম ছাপা হয়েছে কিনা দেখে নিশ্চিত হয়ে বলত, ‘দোস্ত, খুব ভালো করছস’ তারপর সেই যে গায়েব হয়ে যেত তাদের কারও টিকিটিও দেখা যেত না। এরপর পুরোনো পত্রিকাটি সম্পাদনা বাদ দিয়ে এমরানুর রেজা নতুন ম্যাগাজিন (আড়াইসিধা) প্রকাশে নামলেন। এবার একাই। সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনমুক্ত ম্যাগাজিন।

সম্পাদনার জন্য বড় বড় মানুষের প্রশংসাও পেয়েছি। এদের একজন সাপ্তাহিক (পরে দৈনিক) যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান। চট্টগ্রামে থাকার সময়ে বুকপোস্টে তাকে প্রথম সংখ্যাটি পাঠিয়েছিলাম। তিনি প্রাপ্তিস্বীকার করে চিঠি লিখেছিলেন আমাকে। সেখানে একটি বাক্য ছিল এমনÑ ‘শুধু কবিতা কেন? আগামীতে গদ্যও চাই।’ ব্যস, তারপর থেকে শুরু হলো গদ্যের শক্ত জমিনে চাষাবাদের কসরত। তাছাড়া কবিতার বিষয়-আশয়ও আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আনাড়ি হাতের এত এত্ত লেখা পড়ে বুঝতে পেরেছিলামÑ এটা বড় বিপজ্জনক পথ!

ঢাকায় আসার পরও শফিক রেহমানকে ম্যাগাজিন পাঠাতাম। তিনি ম্যাগাজিন পেয়ে কল করলেন একদিন। বললেন, ‘বাসায় এসো। পত্রিকা সম্পাদনা নিয়ে কথা বলব তোমার সঙ্গে।’

১৫ ইস্কাটন গার্ডেনে শফিক রেহমানের পৈতৃক বাড়ি। যায়যায়দিন, মৌচাকে ঢিল বিশেষ সংখ্যায় লেখা ও বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আগেও গিয়েছি এই বাসায়। মৌচাকে ঢিল ম্যাগাজিনে চাকরির ইন্টারভিউ দিতেও গিয়েছিলাম দুইবার। আর এবার যাচ্ছি সম্পাদক পরিচয়ে! এমন ডাকসাঁইটে একজন সম্পাদক, লেখক ও সাংবাদিক আমাকে এতটা মূল্যায়ন করবেন কল্পনাও করতে পারিনি। দীর্ঘ আলাপচারিতায় শফিক রেহমান কয়েকবার বললেন, ‘তুমি পয়সা খরচ করছ!’

হ্যাঁ, পয়সা তো খরচ করছিই। খরচ ছাড়া কি পত্রিকা বের হয়! সম্পাদনার কলাকৌশল নানাভাবেই তিনি আমাকে বোঝালেন। সাম্প্রতিক লেখালেখি, চিরায়ত সাহিত্য পাঠের গুরুত্ব, এসব বিষয় বললেন অনেকক্ষণ যাবত। লেখালেখির টেকনিক-বিষয়ক দুইটি বইও উপহার দিলেন। একপর্যায়ে বললেন, ‘তুমি আর কোন কোন পত্রিকায় লেখ?’

নিজের লেখাজোকা নিয়ে বরাবরই কুণ্ঠিত যে আমি সেই আমাকে এত বড় একজন সম্পাদক জিজ্ঞেস করছেন, কোন কোন পত্রিকায় লিখি! তার মানে আমিও লেখক হওয়ার পথে!

সবসময় লক্ষ্য বড় রাখার কথা বলতেন। বলেছেন, তুমি যদি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হওয়ার স্বপ্ন দেখ তাহলে আনিসুল হক বা সুমন্ত আসলাম হতে পারবে। আর যদি আনিসুল হক, সুমন্ত আসলাম হওয়ার স্বপ্ন দেখ তাহলে কিছুই হতে পারবে না!

পঞ্চাশের দশকের শফিক রেহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন, তার সহপাঠী ছিলেন আজকের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবী সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। দুই বন্ধু মিলে প্রকাশ করতেন হাতে লেখা পত্রিকা। সেই পত্রিকাগুলোর ভলিউম বের করে দেখালেন আমাকে। একটা লেখার উপরে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বললেন, ‘চেনো একে?’

গল্পের শিরোনাম হাতে লেখা বড় করে। এর নিচেই গাঢ় করে লেখা- কাজী আনোয়ার। দেখেই আমি বুঝে ফেললাম কে হতে পারেন! বললাম, কাজী আনোয়ার হোসেন!

সেবা প্রকাশনীর সদ্য প্রয়াত প্রকাশক মাসুদ রানা খ্যাত কাজী আনোয়ার হোসেনও ছাত্রজীবনে এভাবেই হাত মক্শো করতেন তাহলে!

নিজের ছাত্রজীবনের গল্প বলেছেন শফিক রেহমান। দেখতে-শুনতে ছোটখাটো গড়নের ছিলেন। হাফপ্যান্ট পরে ক্লাস করতেন। স্যারদের মাঝেও পত্রিকা বিলাতেন। একদিন ক্লাসে এক শিক্ষক তাকে প্রশ্ন করলেন- আচ্ছা, তুমি যে এত কিছু লিখলে, দেখেছ এসব?

শফিক রেহমান বললেনÑ না। বানিয়ে লিখেছি।

বানিয়ে লিখবে কেন? অভিজ্ঞতা ছাড়া লিখবে না।

একই পরামর্শ শফিক রেহমান আমাকেও দিলেন। পড়ার জন্য চিরায়ত কিছু বইয়ের নামও বললেন। পাহাড় দেখতে হবে, সমুদ্র দেখতে হবেÑ সর্বোপরি জীবন দেখতে হবে, বুঝতে হবে।

সরকারিভাবে এখন প্রতি বছর লিটল ম্যাগাজিন কেনা হয়। পরপর তিন বছর জাতীয় গণগ্রন্থাগার ‘প্রকাশ’ কিনেছে। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ছিল জনান্তিক। শুরুর দিকে ছিল ‘লোক’ তথা ‘লিটলম্যাগ প্রাঙ্গণ’। ম্যাগাজিন বিক্রি আর কয়টা হয়, স্টলে বিক্রি হলেও তো সেগুলোর টাকা পাওয়া যায় না। সৌজন্য কপিই বিলাতে হয় বেশি। তবে সৌজন্য কপি দিলেও কিনে নিতেন প্রকাশক ও ছোটকাগজকর্মী সাগর নীল খান দীপ, আমার সাবেক সহকর্মী মিজান মিজানুর রহমান, লেখক আনিস রহমানসহ আরও কেউ কেউ। আমি নিজেও এটা অনুসরণ করে একসময় লিটল ম্যাগাজিনগুলো কিনে নেওয়ার চেষ্টা করতাম। কিন্তু সেটা বেশিদিন ধরে রাখতে পারিনি। সংসারের তেল-নুনের খাই মেটাতে শেষপর্যন্ত লিটলম্যাগ সম্পাদকের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দটুকু থাকে না!

লিটল ম্যাগাজিনের বড় প্রতিবন্ধকতা লেখা পাওয়া। বিশেষ করে গদ্য। আবার একশ্রেণির লেখকের ধৈর্য একেবারেই কম, কিছুদিন অপেক্ষা করে অন্য কাগজে লেখাটা দিয়ে দেন তারা। পুরোনো লেখা গছিয়ে দেওয়ার লেখকও কম নন। আবার এমন অসৎ লেখকও আছেন যারা এক লেখা বিভিন্ন জায়গায় দেন! নির্দিষ্ট সময়ে ম্যাগাজিন প্রকাশিত না হলে কারও কারও লেখা বইয়েও চলে যায়। তখন সম্পাদক হিসেবে নিজের অসহায়ত্ব আরও প্রকটভাবে সামনে চলে আসে।

লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে আমার গাঁটছড়া বাঁধা পড়েছে ২০০৮ সাল থেকে। ২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বর থেকে আমার ঢাকা-বাস শুরু হয়। আগেই উল্লেখ করেছি, আহসান হাবীবের বদান্যতায় একটি প্রিন্টিং প্রেস ম্যানেজার হিসেবে চাকরি শুরু হয়। ওই প্রতিষ্ঠান মালিকের একটি সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাও ছিলÑ স্বরাজ প্রকাশনী। কিন্তু স্টল পাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যক বই ও দরকারি কাগজপত্র ছিল না। আমার বস মুক্তিযোদ্ধা, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল হোসেন কচি। তিনিসহ রনজু রাইম, শুচি সৈয়দ, আবু হাসান শাহরিয়ার প্রমুখ সম্পাদনা করতেন ‘কবিতাসংক্রান্তি’ নামে আট পৃষ্ঠার একটি খোলা পত্রিকা। এটার আলাদা কোনো প্রচ্ছদ ছিল না। এ ফোর সাইজের চেয়ে কিছুটা বড় পিন বাইন্ডিং পত্রিকাটির দাম ছিল দশ টাকা। সময়টা যেহেতু ২০০৮, বইমেলা হয় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণেই। লিটলম্যাগ চত্বর বহেরাতলায়। কবিতাসংক্রান্তি স্টলে আমরা স্বরাজ প্রকাশনীর বইগুলোও বিক্রি করতাম। যদিও আপত্তি জানানোর মানুষের কমতি ছিল না। এই কাজ বাংলা একাডেমির নীতিমালা পরিপন্থীও।

লিটলম্যাগ চত্বরে ‘প্রকাশ’-এর স্টল নিয়ে বসছি ২০১২ সাল থেকে। প্রথম তিন বছর স্বতন্ত্র স্টল পাইনি। উন্মুক্ত স্টলেই বসতে হতো। এরপর স্টল নিয়েছি টানা কয়েক বছর। নিজে সব বছর বসতে পারিনি। প্রকাশ-এর স্টলে বসার জন্য একজন কর্মী রাখতে হতো। কিন্তু ফলাফল সুখকর কিছু ছিল না। শেষের দিকে এমন অবস্থা ছিল, কর্মীর বেতন প্রায় পুরোটাই ভর্তুকি হিসেবে দিতে হবে আমাকে। বিক্রি-বাট্টা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। এদিকে আমিও জীবন নিয়ে নানাবিধ হিমশিম অবস্থায় পড়ে আছি। করোনার পর থেকে তো পুরো হিসাবটাই পাল্টে গেল। বইমেলামুখো হয়েছি শুধু ২০২২ সালে। তাও কর্মীহীন। অন্য একজন কিছু ম্যাগাজিন মেলে দিয়ে যেত, এভাবে পড়ে থাকত! লিটল ম্যাগাজিনের আগের সেই প্রাণ যেহেতু নেই, ক্রেতা-পাঠককে তাই বিক্রেতাকে খুঁজে বের করতে হয়নি।

এখন আমি সম্পাদনায় একপ্রকার ইস্তফা দিয়েছি বলা যায়; বইমেলার প্রলোভনও এড়াতে পেরেছি অনেকটাই। কিন্তু কী দুর্গম পথ মাড়িয়ে এসেছি, পেছন ফিরে তাকালে দেখি আর শিউরে উঠি। ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে হলে বিজ্ঞাপন লাগে, অথবা পৃষ্ঠপোষক। বিজ্ঞাপনহীনতার দিনগুলো কথা ভাবলে এখন পেটে ক্ষুধা টের পাই! ফুটপাতে দাঁড়িয়ে একটি শিঙাড়া খাওয়া, সঙ্গে ঢকঢক করে দুই গ্লাস পানি। একটি দুপুর এভাবেই কেটে গেল। বিকালটা কোথায়, কার দুয়ারে কাটবে জানা ছিল না। বিজ্ঞাপন সংগ্রহের মতো গ্লানির কাজ পৃথিবীতে আর কয়টা আছে! তাও যদি পাওয়া যেত, আর সময়মতো বিজ্ঞাপনের বিল। হয় না, সকলই গরল ভেল। একটি বিজ্ঞাপনের জন্য ভিক্ষুকের মতো বসে থেকেছি প্রতিষ্ঠানের দুয়ারে, ব্যাংকের বারান্দায়। কিন্তু বিজ্ঞাপন পাওয়ার তরিকা তো ভিন্ন। কেউ কেউ উপঢৌকন হিসেবে সশরীরে হাজির রাখেন সুন্দরী নারী, কেউ আগাম দিয়ে রাখেন বখরা তথা পার্সেন্টেজ। অসৎ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বশ হয়ে অজায়গাতেই বিজ্ঞাপন দিয়ে দেন। আমরা আর পাই না। এসব চর্চায় যেহেতু আমরা যাই না বা যাবও না সহজেই ছিটকে পড়ি বিজ্ঞাপনের বাজার থেকে।

লেখকদের অকৃতজ্ঞ মনোভাবও কম পীড়া দিত না- এতটা দৌড়-ঝাঁপ করে একেকটি ম্যাগাজিনের জন্য কিন্তু কুরিয়ার করার পরে ‘ম্যাগাজিন পেয়েছি’ এটা বলার সৌজন্য দেখান না বেশির ভাগ লেখকই। এখনো হয়তো এমন অবস্থাই বিরাজমান। কেউ কেউ আবার লেখার বিলও দাবি করেন!
লিটল ম্যাগাজিন থেকে বই প্রকাশের চলও দীর্ঘদিনের। প্রকাশ পাবলিকেশন্স নাম দিয়ে আমিও ২০/২৫টা বই প্রকাশ করেছি। বই প্রকাশ করার অভিজ্ঞতাও সুখকর হয়নি। বস্তুত লেখকরা বই প্রকাশের টাকা দিয়েই খালাস, বাকি বইগুলো আমাকে গাধার মতো টেনে নিয়ে যেতে হতো। বই হচ্ছে পাথরের মতো ভারি। জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে থাকে ঘাড়ে, বুকে। বিক্রি? নৈব নৈব চ! মাঝখান দিয়ে বদনাম হয়ে যায়। লোকে বলে, সম্পাদনা করতে এসেছ নাকি ব্যবসা করতে! বদনাম নিয়েও যদি ব্যবসাটা করতে পারতাম, কম বেতনের কিংবা বেতনহীন চাকরির ঘানি টানতে হতো না আর। সেই নাজুক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে লেখার কলেবর বাড়াতে চাই না আপাতত। 
(তৃতীয় পর্ব)

আজকালের খবর/আরইউ








http://www.ajkalerkhobor.net/ad/1724840661.gif
সর্বশেষ সংবাদ
ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন ফজলুর রহমান
১ অক্টোবর থেকে বিমানবন্দর এলাকা হর্নমুক্ত ঘোষণা
বিএসএমএমইউ শিক্ষক নিপুণ গ্রেপ্তার
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগে শরিক হতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরতে দেখা গেছে লোদি গার্ডেনে
যুবককে পিটিয়ে হত্যা: ঢাবির ৫ শিক্ষার্থী আটক
ঢাবির হলে চোর সন্দেহে গণপিটুনি, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মৃত্যু
সেনাবাহিনীকে সব জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু: যাত্রী কল্যাণ সমিতি
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft