প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৪৭ PM
সদ্য শেষ হওয়া নারী এশিয়া কাপের ফাইনালসহ ভারত-পাকিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন সাথিরা জাকের জেসি। ফাইনালে ফিল্ড আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করা জেসির আছে বিরূপ অভিজ্ঞতাও। ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কাউর মাঠেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তার দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেন জেসি। এ সময় তিনি এশিয়া কাপে আম্পায়ারিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আবেদন এবং পরের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কথা বলেন।
জেসি বলেন, ‘যেকোন খেলোয়াড়েরই অধিকার আছে আউট কিংবা নট আউট কেন দিলাম সেটা জানার। চামারি আতাপাত্তুর বিপক্ষে ৪ বা ৫ নম্বর ওভারে একটা এলবিডব্লিউ’র আপিল ছিল। সেটার যেভাবে আপিল করছিল ভারতীয় খেলোয়াড়েরা আমি নট আউট বলাতে তাদের কাছে মনে হয়েছে ১০০% আউট আমি দিই নাই।’
ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর আবেদন করেই ক্ষান্ত হননি। জেসিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান সঙ্গে সঙ্গে। জানতে চান কেন আউট দেওয়া হয়নি। জেসিও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, পরে রিপ্লে দেখে পাল্টা প্রশংসা করেন ভারতীয় অধিনায়ক।
জেসি বলেন, ‘হারমানপ্রীত এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো আমি কেন আউট দিই নাই? আমি সাথে সাথে বলে দিয়েছি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচড আপ। হারমানপ্রীত হয়তো কথাটা ভালোভাবে গ্রহণ করেনি।’
‘ঠিক ওই মুহূর্তে আমি এবং হারমানপ্রীত দুজনে একসাথে বড় স্ক্রিনে তাকিয়েছি। সেখানে দেখালো যে লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরে। তখন আমি হারমানকে বললাম দেখেছো লেগ স্টাম্পের বাইরে। এরপর সে এসে আমাকে বললো— ম্যাম ভেরি গুড ডিসিশন।’
তবে বাংলাদেশি এই নারী আম্পায়ারের কাছে ফাইনাল কিংবা ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ চাপের মনে হয় না। তাহলে জেসির কাছে কোন ম্যাচটি বেশি চাপের? ক্রিকেটার থেকে আম্পায়ার হওয়া জেসির উত্তর, ‘আমার কাছে এখনো মনে হয় ভারত-পাকিস্তান বা এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের থেকে আমাদের ডিপিএলে বেশি চাপের ম্যাচ তো আমি করে গিয়েছি। যার কারণে আমি ওই ম্যাচগুলো উপভোগ করেছি, চাপ অনুভব করিনি।’
সামনেই আছে ঘরের মাঠে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জেসির স্বপ্ন বাংলাদেশের হয়ে সেখানে প্রতিনিধিত্ব করা, ‘দেখেন আমিতো আশাবাদী। স্বপ্ন সেটাই দেখছি। বিসিবিও আশাবাদী, আইসিসির সাথেও মোটামুটি কথা তাদের হয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হচ্ছে ততক্ষণ কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।’
আজকালের খবর/ওআর