বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সেনাবাহিনী মাঠে থাকায় জনমনে স্বস্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪, ৭:০৯ PM
দেশের যেকোনো দুর্যোগে বারবার জনগণের পাশে আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সর্বশেষ গত মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহিংস আকার ধারণ করে। আন্দোলনকে ঘিরে বিগত কিছুদিন দেশে অনেক প্রাণহানিও হয়েছে। ছাত্রদের অহিংস আন্দোলনের মাঝে দুর্বৃত্তরা ঢুকে তা সহিংস করে তোলে। কিছু রাজনৈতিক দলের সহিংসতাকারীরাও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি করে। 

এমন প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। রাজধানীতে সৃষ্টি হয় ভীতিকর এক অবস্থা। ভেঙে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মানুষ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পেতেন না। শ্রমজীবী মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভোগান্তি চলে যায় চরম পর্যায়ে। তখন বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে সরকার যেন দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এমন ভীতিকর অবস্থা ও নৈরাজ্য বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে গত ১৯ জুলাই মধ্য রাত থেকে সারা দেশে জারি করা হয় কারফিউ। পাশাপাশি বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। সেনা মোতায়েনের পর সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে। দেশে আর কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। সেনাসদস্যদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতায় রাজধানীতে জনজীবন এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। সহিংসতায় বন্ধ হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকা আবারো সচল হতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দ্রুত নৈরাজ্য ঠেকাতে সাহায্য করেছে। সাধারণ মানুষও হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে।

রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাহমিনা আক্তার সালমা বলেন, সম্প্রতি চোখের সামনে ভয়ানক অরাজকতা দেখেছি। ওই সময়কার প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কগ্রস্ত ছিলাম। দেশ ও দেশের মানুষের চিন্তায় প্রতিনিয়ত খারাপ লাগত। অজানা ভয়ে থাকত সব সময়। এখন প্রায় সবকিছু স্বাভাবিক ও নিরাপদ লাগছে। কারফিউ জারির সময়ও ভয় কাজ করত। সেনাবাহিনী মাঠে নামলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত-স্বাভাবিক হতে থাকে। এখন পথেঘাটে চলাচল করলেও এক ধরনের সাহস ও স্বস্তি ফিরে পেয়েছি। বর্তমানে কারফিউ শিথিলের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতিও আগের সেই স্বাভাবিক অবস্থার মতো হয়ে আসছে।

কেবল তাহমিনা সালমা নন, রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, কাকরাইল, ফার্মগেট, মিরপুর, উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বনানী, গুলশানসহ একাধিক এলাকা ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে সবার কাছ থেকেই প্রায় একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার মহাখালীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রুহুল আমিন বলেন, এ এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। সেনাবাহিনী নামায় মানুষ আর ভয় পাচ্ছে না।

ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক বলে জানান ব্যাংকার রেজাউল করিম। তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে ব্যাপক কর্মচঞ্চলতা এসেছে। ভীতি বা আতঙ্ক সে অর্থে কোথাও নেই। এর পেছনে সেনাবাহিনীর অভয় কাজ করেছে। পল্টন মোড়ে কথা হয় ব্যবসায়ী আহমেদ ইমতিয়াজের সঙ্গে। তিনিও সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একটি অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি পার করেছি আমরা। এখন সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। এর জন্য সর্বাগ্রে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। দেশের গর্ব এ বাহিনী দেশের যেকোনো দুর্যোগে কাজ করেছে নিঃস্বার্থভাবে।

ব্যাংকিং লেনদেন থেকে শুরু করে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ও কর্মমুখর হয়ে পড়েছে। প্রেসক্লাবের সামনে গণমাধ্যমকর্মী মাহবুব উল্লাহ বলেন, সহিংস-তাণ্ডবের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর ব্যাংকপাড়া বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে। বর্তমানে নির্বিঘ্নে-নিরাপদে তারা তাদের কার্যক্রম পূর্ণ উদ্যমে শুরু করেছে।

রামপুরা এলাকায় চলা তাণ্ডবের প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা হারুন মোল্লা বলেন, রামপুরা এলাকায় রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে। বাসার ছাদ থেকে বিটিভি ভবন জ্বলতে দেখেছি। এই কয়েকদিন ভয়ে রাস্তায় বের হওয়ার চিন্তাও করতে পারেনি। বাসায় পরিবার নিয়ে ছিলাম, সেখানেও আতঙ্কে ছিলাম, কখন কী হয়ে যায়। রামপুরায় আমার একটি জুতার দোকান আছে। ওই সময়ে ভয়ে দোকানও খুলতে পারছিলাম না, ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলাম। এর মধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এখন কারফিউ শিথিলের সময় স্বাভাবিক সময়ের মতো ব্যবসা করতে পারছি। সেনাবাহিনী মাঠে আছে, তাই আর কোনো ভয় লাগে না।

রাজধানীর বনানী এলাকার রিকশা চালক মানিক মিয়া সহিংসতার ঘটনা ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরবর্তী অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘সেতু ভবনে যখন আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় তখন একটু দূরেই ছিলাম। কোনোমতে রিকশাটা নিয়ে প্রাণে বেঁচে ফিরেছি। যে কয়েকদিন এই সহিংসতার ঘটনা চলেছে আমাদের তো কাম-কাজ সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা গরিব মানুষ একদিন রিকশা না চালাইলে আমাদের সংসার চলে না। টানা কয়েকদিন এই অচল অবস্থা থাকার কারণে পরিবার নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে গিয়েছিলাম। যখন সরকার সেনাবাহিনী নামাইছে তখন থেকে অবস্থা আস্তে আস্তে ভালো হতে থাকে। সেনাবাহিনীর নামার পর আমিও রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমেছি। যখন কারফিউ থাকে না তখন রিকশা চালাই। সেনাবাহিনী রাস্তায় থাকায় এখন আর কোনো ঝামেলা হয় না। সাহসের সঙ্গে রিকশা চালাইতে পারতেছি। যা টাকা আয় হইতেছে তা দিয়ে সংসার চালাইয়া ভালোই আছি।’

এদিকে সেনাবাহিনী মোতায়েনের আগে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন অভিভাবকরাও। সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর এখন অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। তারা বলছেন, সেনাবাহিনী মোতায়েনের আগে রাজধানীর অবস্থা ছিল ভয়াবহ। ছেলেমেয়েদের বাসায় অনেক সময় আটকে রাখা যেত না। সে সময়গুলোতে তাদের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় শঙ্কিত থাকতেন তারা। কেননা এই সহিংসতার সময় বিভিন্ন খবর তাদেরকে আরো বিচলিত করে তুলতো। তবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরে আসে রাজধানীতে। আর কোথাও সহিংসতা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ফলে সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে অনেকটা স্বস্তিতে অভিভাবকেরা।

মগবাজার এলাকার অভিভাবক শিউলি আক্তার বলেন, আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে সন্তান আছে। যখন আন্দোলন হচ্ছিল, সে বিভিন্ন সময় সহপাঠীদের ডাকে বের হয়ে যেত, আটকাতে পারতাম না। সেই সময়টাতে বিশেষ করে বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর এলাকায় চলছিল ভয়াবহ ঘটনা ও তাণ্ডব। পরিস্থিতি ছিল একদম নিয়ন্ত্রণহীন। এসব ঘটনার কারণে ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে কলিজায় পানি থাকতো না। কিন্তু সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর রাজধানীর পরিবেশ শান্ত হয়ে আসে। তখন আমাদের অভিভাবকদের মনেও প্রশান্তি আসে। এখন ছেলে রাস্তায় কোনো কাজে গেলে আর ভয় হয় না তেমন। মনে এইটুকু বিশ্বাস আছে, সেনাবাহিনী যেহেতু রাস্তায় আছে, তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না। কারফিউ শিথিল সময় আমিও মাঝেমধ্যে বের হই।

এদিকে গত কয়েক দিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কারফিউ শিথিলের পর রাজধানীর প্রায় সব এলাকা হয়ে উঠেছে কর্মচঞ্চল। স্বাভাবিক সময়ের মতো চলতে থাকে রাজধানীবাসীর কাজকর্ম। কারফিউ শিথিলের সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে থাকে যানবাহনের লম্বা লাইন। বিশেষ করে বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, পল্টন, প্রগতি সরণিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের সিগন্যালে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এর পেছনে বড় কারণ সেনাবাহিনী। বাহিনীটির সদস্যদের নিরবচ্ছিন্ন টহলে জনমনে শঙ্কা কেটেছে। এদিকে ব্যাংক-বিমা থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা, সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শপিংমল, রেস্তোরাঁ, ফুটপাতের সব ধরনের দোকানপাট স্বাভাবিক সময়ের মতো খোলা থাকে। জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সেনাবাহিনী মোতায়েনে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা।

এদিকে, মতিঝিল ও সচিবালয়ে অফিস করতে যাওয়া অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর মতিঝিল ব্যাংকপাড়া ও সচিবালয় এলাকায় জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক। মতিঝিল এলাকার ব্যাংকপাড়ায় মানুষের মধ্যে ব্যাপক কর্মচঞ্চলতা দেখা গেছে। কোথাও কোনো ভীতিকর অবস্থা নেই। সচিবালয়ও রয়েছে কর্মমুখর। আরো জানা যায়, সহিংসতা ও তাণ্ডবের কারণে ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্থবির হয়ে গিয়েছিল। সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। প্রাণ ফিরে পায় মতিঝিলের ব্যাংকপাড়া।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেনাবাহিনী মাঠে নামার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় রাজধানীর বেশ কয়েকটি সিনেমা হল চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সসহ আরো বেশ কয়েকটি অভিজাত সিনেমা হল খুলে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে কারফিউ চলাকালীন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর অনেক বাসিন্দা ও তরুণরা কারফিউর আইন সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। তাই তারা মাঝেমধ্যে কারফিউর মধ্যেও চলাফেরা করছেন। তবে সে ক্ষেত্রে সেনাবাহিনী অনেক মানবিক আচরণ করছে। কারফিউর মধ্যে কোথাও সেনাসদস্যরা কাউকে হয়রানি করেছেন বলে এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। রাজধানীতে সেনাসদস্যরা অনেক আন্তরিক ও পেশাদারত্বের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

এ ছাড়া কারফিউ চলাকালীন রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনী তল্লাশিচৌকি (চেকপোস্ট) কার্যকর রেখেছে। প্রয়োজন অনুসারে টহল এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী।

এদিকে কারফিউ জারির আগের দুই-তিনদিনে রাজধানীর যে কয়েকটি এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সেগুলোর মধ্যে রামপুরা, মেরুল বাড্ডা, বনশ্রী, যাত্রাবাড়ী-শনিরআখড়া, মোহাম্মদপুর, বসিলা, সায়েন্সল্যাব, মালিবাগ, মিরপুর, উত্তরা, মহাখালী, বনানী অন্যতম। এসব এলাকার পরিস্থিতিও অনেকটা শান্ত-স্বাভাবিক। সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে দুই-একটি স্থানে কোটাবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে ঝটিকা বিক্ষোভ-মিছিল বের করা হলেও পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। আগের মতো বড় কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি।

এর বাইরেও বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার ভিডিপির সদস্যরাও তৎপর থাকায় সার্বিক পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে গত ২৮ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, জনগণের স্বার্থে ও রাষ্ট্রের যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের সংবিধান সমুন্নত রেখে প্রচলিত আইনের আওতায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, দেশবাসীর জানমালের নিরাপত্তা ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক বিভিন্ন বিদেশি গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াসমূহে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহলের এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ও সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছে।

আজকালের খবর/আরইউ








http://www.ajkalerkhobor.net/ad/1724840661.gif
সর্বশেষ সংবাদ
বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ একটি নতুন অধ্যায় রচিত: নুর
বন্ধ হলো বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাসিন্দাদের মিলনমেলা
সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ সবাই: জামায়াত
নির্বাচনের রোডম্যাপ দিলে কেউ ষড়যন্ত্রের সাহস পাবে না: বিএনপি
হাইকমিশনে হামলার নিন্দা জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দল: আসিফ নজরুল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বেতনের বাইরে মুন্নী সাহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা ১৩৪ কোটি টাকা
দেবীদ্বারে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত
‘ডেঞ্জার জোন’ নিয়ে ফিরছেন বাপ্পি
বেনজীরের ক্যাশিয়ার জসিম গ্রেপ্তার
টেকনাফে ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft