প্রকাশ: সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪, ৫:৪৬ PM আপডেট: ২৪.০৬.২০২৪ ৬:৫৩ PM

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রিংকন বিশ্বাস (১৭) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আর তাকে গত শনিবার বিকালে কোনো ধরনের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। এতে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল গ্রামের সিকান্ত বিশ্বাসের ছেলে রিংকন বিশ্বাস।
জানা যায়, দীর্ঘ কয়েকমাস যাবত সমধল গ্রামের লুলু মেম্বার নামের এক ব্যক্তির গরুর ফার্মে চাকরি করে আসছিলেন রিংকন বিশ্বাস। গতকাল রবিবার সকাল ১১টায় ফার্মের রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত রিংকন বিশ্বাস এর মা বাসন্তি বিশ্বাস কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ঢলের পানিতে আমার বাড়িঘর পানির নিছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের আশ্রয়কেন্দ্রে আছি। যে দিন তার মৃত্যু হয় এই দিন গরুর ফার্মের মালিক লুলু মেম্বারের ভাগনা কামাল মিয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসিয়াছে বলে মামায় কইছন ফার্মে তাড়াতাড়ি যাইতায়, আমি সেখানে গিয়ে দেখি একটা কাঠের উপর আমার ছেলের মৃত্যুদেহ, পরে ফার্মের মালিক আমাদের জানায় সে আম পাড়তে গিয়া গাছের নিছে গোবরের মধ্যে তার মাতা ঢুকাইল ও তার দুই পা উপর দিয়ে তুলা অবস্থায় পড়ে মৃত্যু হয়।
তিনি আরো বলেন, আমার ছেলের বয়স ১৭। ৭ ফুট উচ্চতা আম গাছ থেকে পড়ে তার মৃত্যু হবে আমরা বিশ্বাস করিনা, এটা তাদের নাটকীয়তা, আমার ছেলের এরকম মৃত্যু হলে তার গলায় ও তার মুখে আঘাতের দাগ কিসের?
এ সময় নিহত রিংকন বিশ্বাস এর বোন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ভাইয়ের শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ আছে, তিন জনে আমার ভাইরে মারছইন, আমি এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে গরুর ফার্মের মালিক লুলু মেম্বার বলেন, রিংকন আমার খামারে কাজ করে, সে আম পাড়তে গিয়ে পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করে, আমরা চেয়ারম্যান বকুল মিয়াকে অবগত করে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।
চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বকুল মিয়া বলেন, আমি খবর পেয়ে লাশ দেখেছি। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ও আমি লাশের শরিরে কোনো আঘাত না থাকায় দাফন করতে পরিবারকে বলেছি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ থানার সার্কেল এএসপি শুভাশিষ ধর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।
আজকালের খবর/ওআর