প্রকাশ: শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪, ৬:১৭ PM

সংশ্লিষ্ট কর্তাবাবুদের কোনো রকম তদারকি না থাকায় সরকারী সকল নিয়মনীতি ও নির্দেশনা অমান্য করে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বন্দরের মাংস ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে অবাধে প্রতিনিয়ত গরু, মহিষ ও ছাগল-ভেড়া জবাই করে মাংস বিক্রয় করে আসছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগিরা জানান, নলডাঙ্গার মাংস ব্যবসায়ীরা সরকার নির্দেশিত কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমত ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই সুস্থ-অসুস্থ গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই করে তা বিক্রয় করে আসছেন। আর ক্রেতা সাধারণ জবাইকৃত এসব পশুর মাংস সহজ সরল বিশ্বাসে কিনে খাচ্ছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মাংস ব্যবসায়ীরা কখনো কখনো বকনা গরু জবাই করে তা এঁড়ে গরুর মাংস বলে চড়া দামে বিক্রয় করে থাকেন। খাশির মাংস বিক্রিতেও এমন কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।এভাবে মাংস ক্রেতাদের প্রায়ই তাদের কাছে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে। আবার অনেক সময় অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা ভোর রাতে লোকচক্ষুর আড়ালে রোগাক্রান্ত গরু-ছাগল জবাই করে দেদারচ্ছে বিক্রয় করেন।
মাংস ক্রেতা আব্দুল ছাত্তার মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, কিছু কসাই ভাল গোশতের সঙ্গে খাবার অনুপোযোগি হাড়হাড্ডি ও গোশত মিশাল করে বিক্রয় করে থাকেন। একথা বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন। নুরুল আমিন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বেশির ভাগ সময় কসাইয়ারা সুকৌশলে ৫/৭ দিন ফ্রিজে রাখা বাসি মাংস নির্বিঘ্নে বিক্রয় করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় এসব মাংস ব্যবসায়ীরা কখনো নিজেরা পশু জবাই না করলে আশেপাশের হাট বাজার থেকে রোগাক্রান্ত জবাইকৃত পশুর মাংস কম দামে কিনে তা বেশি দামে বিক্রয় করেন। এতে এলাকার মানুষজন মারাত্নকভাবে স্বাস্থ্যঝুকিতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই।
তবে মাংস ব্যবসায়ীরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কখনো রোগা পশু কিংবা বাসি মাংস বিক্রয় করি না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, কখন কোন সময়ে এবং কোন স্থানে এসব পশু জবাই করা হয় তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ কিছু বলতে না পারায় আমরা তাৎক্ষনিকভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারিনা। তবে কখনো নির্দিষ্টভাবে এরকম কিছু জানা গেলে তখন অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজকালের খবর/ওআর