ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বাসায় ফেরেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। শুক্রবার দুপুরে শহরের ভূষণ স্কুল সড়কে নিজ বাসভবনের নিচে স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি তার বাবার হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করেন। ডরিন বলেন, স্পিকারের সহযোগিতায় ভারতীয় ভিসা পেয়েছি। প্রয়োজন হলে ভারত যাব।
আনারকন্যা বলেন, ‘হত্যার পরিকল্পনাকারীকে ধরার পরই খতিয়ে দেখা যাবে আসলে কী কারণে সে এত বড় অপকর্ম ঘটালো। এর বিচার অবশ্যই হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার বাবা হত্যার বিচার করেছেন। তিনি আমার বাবা হত্যারও বিচার করবেন। কারণ, তিনি বাবা হারানোর ব্যথা ভালো করেই বোঝেন। আশা করি, তিনি এই নির্মম নিষ্ঠুরতার বিচার অবশ্যই করবেন। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লি হাইকমিশনসহ সবার সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। ওখানকার অনেক বড় বড় কর্মকর্তা আমাকে ফোন দিয়েছেন। তারা নিজেরাই বিষয়টা দেখছেন। তারা চেষ্টা করতেছেন কিছু না কিছু বের করবেন।’
ডরিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সহযোগিতায় আমি ভিসা করতে দিয়েছি। আমার ভিসাও হয়ে গেছে। আমাকে যখন প্রয়োজন হবে তখনই আমি চলে যাবো। এখন পর্যন্ত আপডেট কিছু পাইনি। তারা ইনভেস্টিগেশন করলে প্রথমে সেটা হাইড (গোপন) রাখেন তাদের কাজের স্বার্থে। পরবর্তীতে তারা সেটা জানান। সুতরাং তারা তাদের কাজ করুক, আমরা অবশ্যই জানতে পারবো।’
পুলিশ প্রশাসন আপনাদের কীভাবে আশ্বস্ত করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়ায় একটি গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। তারা কিছু না কিছু বের করবে। বাংলাদেশের টিমও কাজ করছে তারা আর কি আশ্বস্ত করবে? তারা তো সবই বের করছেন। সবই তো দেখতেছি। খুব সহজেই আমরা বিষয়টা জানতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে আনারকন্যা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) কথা বলেছি। আমরা আইনের আশ্রয় নেবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় সর্বোচ্চ অভিভাবকেরা আছেন। তারা আমাদের পরামর্শ দেবেন এবং তারা অবশ্যই তাদের দলীয় এমপি হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। কালীগঞ্জের মানুষের সুখে-দুঃখে যিনি সব সময় পাশে থেকেছেন সেই মানুষটির হত্যার বিচার আমরা চাই। আমরা কোনও বিশৃঙ্খলা করতে চাই না।’
রাজনীতিতে বাবার জায়গা নিতে চান কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে ডরিন বলেন, ‘রাজনীতি অবশ্যই করতে চাই। রাজনীতি করার জন্যই তো রাজনীতি শুরু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি যেভাবে আমাকে পরামর্শ দেবেন সেভাবে চলার চেষ্টা করবো। এটা অনেক সুদূরপ্রসারী ব্যাপার, এখন আমি এটা নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র আশরাফুল আলম, সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব হোসেন খান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান মন্টুসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
আজকালের খবর/এসএইচ