প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ৯:১৫ AM
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবার অনুষ্ঠিত হবে ১৯৭ তম ঈদুল ফিতরের জামাত। প্রতিবছর এ ঈদগাহ মাঠে আশেপাশের জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশ থেকে কয়েক লাখ মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশ নেন।
ঈদের দিন বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় একটি মাত্র জামাতের জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন। দেশের বৃহত্তম এ ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। ঈদ জামাত ঘিরে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জায়নামাজ ছাড়া কোনকিছু নিয়ে মাঠে প্রবেশ না করার জন্য মুসুল্লিদের উৎসাহিত করছে জেলা প্রশাসন। বরাবরের মতো দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের সুবিধার্থে ঈদের দিন ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুইটি বিশেষ ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, ২০১৬ সাল থেকে আমরা সব সময় বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি ও করছি। এবারও পূর্বের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। তাই আমরা কিছু বাড়তি আয়োজন করেছি। এর মধ্যে ময়দানকে লক্ষ্য করে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি মানুষ যখন ঈদগাহ ময়দানে আসবেন পুলিশের চারটি স্থাপনা পেরিয়ে আসতে হবে। সেটি চেকপোস্ট হোক বা পিকেট হোক। আবার কোথাও কোথাও পাঁচ থেকে ছয়টি স্থাপনা পেরিয়ে ময়দানে আসতে হবে। এখানে ওয়াচ টাওয়ার রয়েছে ছয়টি। তার মধ্যে র্যাব ব্যবহার করবে দুটি আর চারটি ব্যবহার করবে পুলিশ। মাঠে চারটি ড্রোন ক্যামেরা থাকবে। থাকবে মাইনো কোলারসহ ছয়টি ভিডিও ক্যামেরা।
উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালে প্রথম ঈদুল ফিতরের বড় জামাতে এ মাঠে প্রথম সোয়ালাখ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় “সোয়ালাখিয়া”। পরবর্তীতে যা শোলাকিয়া নামে পরিচিতি পায়।
আজকালের খবর/বিএস