বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশকে আরেকটি কাশ্মীর আমরা হতে দিব না।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদ বস্ত্র বিতরণের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশ নাকি সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে‘ মন্ত্রীদের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, চারদিকে শুধু ভিক্ষার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ, ভাত চাওয়ার আওয়াজ। এই আওয়াজের মধ্যে দেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেল কীভাবে?
তিনি বলেন, সরকারের কাছের ও আত্মীয়স্বজনের ধনসম্পদ সিঙ্গাপুরে ধনীদের ছাড়িয়ে গেছে। ’৭২ থেকে ’৭৫ পর্যন্ত এই দেশ তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে ভিক্ষুকে পরিণত করেছিল। ঠিক তেমনিভাবে বর্তমান সরকার আবার ভিক্ষুকে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
২০১৪ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচন গুম, খুন, নির্যাতন ও ক্রস ফায়ার করে পার করা হয়েছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ নিজেকে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করে। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব, কোনো কিছু মানে না। পছন্দের একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে। তাদের সার্টিফিকেট দেয়। যারা এ দেশের জনগণ ও বিরোধীদলকে অপছন্দ করে আমরা তাদের কাপড় পরব কেন, কিনব কেন? ওরা আমাদের সম্মান দেয় না। মর্যাদা দেয় না। এক দিন দুদিন পর বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করে।
আমরা আমাদের দেশকে উন্নত করতে চাই, দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই এমন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এগুলো দেশের মানুষকেই করতে হবে। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশ করে দিবে না। পার্শ্ববর্তী দেশ তো চায় না এ দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, তারা চায় এ দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রভু হতে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশকে আরেকটি কাশ্মীর আমরা হতে দিব না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশকে আরেকটি কাশ্মীর বানাতে দিব না।
জিয়া প্রজন্ম দলের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কৃষকদলের সহ সভাপতি আ ন ম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি নেতা ফিরোজ আলম, ছাত্রদল নেতা ডা. মুশফিক, আশরাফুল আসাদসহ অন্যান্য নেতারা।
আজকালের খবর/বিএস