![](../2024/02/22/ak_1708620724.jpg)
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিনা নোটিশ এক সাংবাদিকের ফার্মেসি গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গাজীপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ মানববন্ধন করেন।
কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আজকালের খবর পত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিনিধি মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- গাজীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহতাব উদ্দিন, সহ-সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, যমুনা টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আলী বাবু, নাগরিক টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মো. আল আমিন, দীপ্ত টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মো. জাহাঙ্গীর আলম, আনন্দ টেলিভিশনের কালিয়াকৈর উপজেলা প্রতিনিধি আফসার খান বিপুল, কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. ইমারত হোসেন, সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সরকারি জমির ওপর দোকান বা বাড়িঘর থাকলেও নিয়ম অনুযায়ী যারা ওই জমিতে বসবাস করছে তাদের নোটিশ দিতে হয়। বিনা নোটিশে কোন স্থাপনা ভাঙতে পারবে না। কিন্তু উপজেলার চা বাগান বাজারে ইমারত হোসেন দীর্ঘ ৩৬/৩৭ বছর ধরে সরকারি জমির উপরে ওষুধের দোকান দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন । গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বিনা নোটিশে তার ওষুধের দোকানসহ আরো তিনটি দোকান ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেন। দোকানের ওষুধপত্রও বের করার জন্য কোন সুযোগ না দিয়ে বুলডোজার দিয়ে সমস্ত মালামাল তছনছ করে দেন।
কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকসহ গাজীপুর জেলা প্রতিনিধিরা ইউএনও’র নানা অপকর্ম নিয়ে ইলেকট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জেরে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কালিয়াকৈর মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা।
উল্লেখ্য, ইউএনওর অপকর্ম নিয়ে কালিয়াকৈর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ইমারত হোসেন কোনো প্রকার নিউজ করেনি। তারপরও ক্লাবের সভাপতি কেন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারণায় বাধা দেননি এজন্য তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিকের ফার্মেসি গুরিয়ে দেন।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে কাউসার আহমেদ ২০ ফেব্রুয়ারী গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী ওই দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নেন। একজন নতুন ইউএনও দায়িত্ব গ্রহণের পর পুরাতন ইউএনও কিভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে বিনা নোটিশ কিভাবে অমানবিক উচ্ছেদ অভিযান চালায় সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন।
বক্তারা বিষয়টি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে স্থাপনা ভাঙচুর ও মালামালের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে জোর দাবি জানান।
এছাড়া ইউএনও জকি অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে লাভবান হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা ওই বিকৃত ইউএনও বিচার দাবি করেন। ওই ধরনের হিংশ্র মনোভাব নিয়ে কোন ইউএনও দায়িত্বে থাকতে পারে না। সচেতন মহল অবিলম্বে তার অব্যাহতি চান। তার ওইসব অনৈতিক কর্মকাণ্ড গোটা ইউএনও সমাজকে লজ্জায় ফেলেছে।
পরে বিনা নোটিশে দোকান ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগপত্র জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেওয়া হয়।
আজকালের খবর/বিএস