প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৩৫ PM আপডেট: ২২.০২.২০২৪ ৬:৪৪ PM
![](../2024/02/22/ak_1708605430.jpg)
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাপায় জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ এবার ভাঙ্গণের মুখে পড়েছে। এই বিদ্রোহী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদপত্নী রওশন। এজন্য আগামী ৯ মার্চ রওশনপন্থীদের কাউন্সিলকে ঘিরে অনেকটাই আতঙ্কে জি এম কাদেরের অংশ। দলের ভাঙ্গন ঠেকাতে ও আগামী দিনের করণীয় ঠিক করতে এবার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের নিয়ে যৌথসভা করতে যাচ্ছে জিএম কাদের। আগামী ২ মার্চ শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর বনানীর জাপার চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিতত হবে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দলের দপ্তর থেকে এ কথা জানানো হয়েছে।
জাপার যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলমের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২ মার্চ সকাল ১১টায় বনানীর চেয়ারম্যান কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন জিএম কাদের। সভায় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যদের উপস্থিত হওয়ার জন্য পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অনুরোধ জানিয়েছেন। ১৯৮৬ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠা লাভের পর অন্তত ছয়বার ভেঙ্গেছে জাপা। বর্তমানে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ ছাড়াও জেপি (মঞ্জু) বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন) আরো তিনটি নিবন্ধিত দল রয়েছে। এর বাইরে জাপা (জাফর) নামে আরেকটি অনিবন্ধিত দল রয়েছে। ৯ মার্চ রওশনপন্থীদের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আরেকটি জাপার জন্ম হলে এর মাধ্যমে চূড়ান্ত ভাঙ্গণের কবলে পড়বে দলটি এমন ধারনা বিশ্লেষকদের। কারণ, এর আগে কোনো সময় এরশাদের পরিবারের কেউ বিদ্রোহী অংশের নেতৃত্ব দেয় নি। আর ্জন্যই ভাঙ্গণ ঠেকাতে ততপর জিএম কাদেরসহ এই অংশের নেতারা।
জাতীয় পার্টিতে বর্তমান বিদ্রোহ পরিস্থিতি শুরু হয় সর্বশেষ গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ নির্বাচনের আগে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে। দেবর জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধে গত সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন নিজে এবার নির্বাচনে অংশ নেননি। তার অনুসারীদের কাউকেই মনোনয়ন দেয়নি জাতীয় পার্টি। নির্বাচনের পর গত ১২ জানুয়ারি কাজী ফিরোজ রশীদ ও সুনীল শুভ রায়সহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতাকে অব্যাহতি দেন জিএম কাদের। যারা রওশনপন্থি হিসেবে পরিচিত। যার রেশ ধরে কয়েকদিন পর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে ‘স্বেচ্ছাচারিতার’ অভিযোগ এনে ৬৭১ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এরই প্রেক্ষাপটে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে বহিষ্কার করে নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন রওশন এরশাদ। এর পরদিন রওশন জানান, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২ মার্চ সম্মেলন করবেন তারা। পরে আবারো এই দিন-তারিখ থেকে সরে এসে ৯ মার্চ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আজকালের খবর/বিএস