পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশের পক্ষ থেকে গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র জন্য অনুদান স্থগিত ঘোষণার পর এবার সংস্থাটির প্রধান ফিলিপ লাজারিনির পদত্যাগ দাবি করল ইসরায়েল।
সেই সঙ্গে গাজায় জাতিসংঘের এই সংস্থার মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ করার জোরালো দাবি জানিয়েছে ইহুদিবাদী দেশটি।
ইসরায়েলের অভিযোগ, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামাসের নজিরবিহীন হামলার সঙ্গে সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত।
ইসরায়েল অভিযোগ তোলার পর জাতিসংঘের সংস্থাটিকে নতুন করে তহবিল দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, স্কটল্যান্ড, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ড।
লাজারিনি এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, গাজাবাসীদের এই অতিরিক্ত শাস্তি প্রাপ্য ছিল না। এটা আমাদের সবাইকে আহত করেছে।
ইউএনআরডব্লিউএ গত শুক্রবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের অভিযোগের পর কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে তারা। আর কোনও কর্মকর্তা ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছেন ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।
তবে কতজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না, তা জানাননি লাজারিনি।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কেৎজ ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান কমিশনার জেনারেল ফিলিপ লাজারিনির পদত্যাগ চেয়েছেন।
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে কেৎজ লিখেছেন, লাজারিনি অনুগ্রহ করে পদত্যাগ করুন।
ইউএনআরডব্লিউএ’র প্রধান এর আগে এক্সে এক পোস্টে বলেন, তহবিল কমানোর অর্থ হল- গাজায় জাতিসংঘের কার্যক্রম ভেঙে পড়তে চলেছে।
এর পাল্টা জবাবে কেৎজ এই পোস্ট দেন।
কেৎজ এর আগে এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা পুনর্গঠনে প্রকৃত শান্তি ও উন্নয়নের জন্য যেসব সংস্থা কাজ করছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। সূত্র: এএফপি
আজকালের খবর/বিএস