শুক্রবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৪
এখন চ্যালেঞ্জ আর্থিক শৃঙ্খলা আনা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ
মোতাহার হোসেন
প্রকাশ: সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:৫৮ PM
গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এবং সরকার পরিবর্তনে নির্বাচনের মাধ্যমে বিকল্প নেই।  আবার এই নির্বাচনকে ঘিরে চল উৎসব, আনন্দ, নতুন ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক  উৎসাহ ছিল, ছিল টান টান উত্তেজনা, আবার আশঙ্কা-উদ্ধেগও ছিল। উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলিতে সাধারণ নির্বাচন ঘিরে এধরনের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে এবারের নির্বাচনে কয়েকটি দল অংশ না নিয়ে বরং বর্জনের কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকায় অস্থিরতা, অশান্তি, অরাজকতার আশঙ্কা ছিল। এমনি অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে একটি নির্বাচন সম্পন্ন করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের কাজ। কিন্তু সরকার, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর  ব্যাপক তৎপরতা ও বলিষ্ট ভূমিকার কারণে সেই আশঙ্কা কেটে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ ওপর পেল দেশবাসি। 

প্রধানত যেই দলটি এই নির্বাচন বর্জন করেছে, স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বরের পূর্বে সেই দলটির কোনো অস্তিত্বই ছিল না। এর অর্থ হল, রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন সব ঘটনা ঘটে, যখন নতুন নতুন প্রধান দল ও প্রধান বিরোধী দলের আবির্ভাব হয়। পৃথিবীর কোনো দেশেই এটি কোনো স্থায়ী বিষয় নয়। ইতোপূর্বে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নির্বাচনও হয়েছে, যখন একটি দল বাদে বাকি সব দল নির্বাচনটি বর্জন করেছে। কিন্তু  দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২৮টি দলের এক হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী ৩০০টি আসনে নির্বাচিত হইবার মানসে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে। শান্তিপূর্ণ এই নির্বাচনে  স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক বঙ্গবন্ধুর নৌকা নিয়ে কারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টিতে, স্বতন্ত্র ৬২, জাতীয় পার্টি ১১  এবং অন্যান্য দল জিতেছে তিনটি আসনে। সুতরাং এই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না বলবার যৌক্তিকতা নেই। মনে রাখা উচিত সরকার পরিবর্তন বা নতুন সরকার গঠনের জন্য নির্বাচন-পদ্ধতিই হচ্ছে সর্বাধিক উত্তম পন্থা। তা ছাড়া সাংবিধানিক ধারা বজায় রাখতেও নির্বাচন অপরিহার্য। নির্বাচন না হলে দেশে সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত থাকে না। এটি বিপজ্জনক। যারা বিপ্লবী নয়, বিদ্রোহী নয়, সন্ত্রাসীও নয়, বন্দুকের নলে ক্ষমতা পরির্বতনে বিশ্বাসী  এবং দেশপ্রেমিক, তারা চিরকালই নির্বাচনের পক্ষে থাকেন। অন্যদিকে যারা নির্বাচন বর্জন করে ভিন্ন পথ খুঁজিতে মরিয়া, তারা কতটা গণতন্ত্রপন্থি, সেই প্রশ্ন থেকে যায়।

নির্বাচন হচ্ছে মানুষের নিকট রাজনৈতিক দলের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের একমাত্র উপায়। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়া প্রমাণিত হয়, সরকার পাঁচ বৎসরে মানুষের জন্য কী করছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরে মানুষ কী পেল, তারও পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া গেল নির্বাচনে। নির্বাচন না হলে অসাংবিধানিক সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দখলে ঝুঁকি থাকে, (নিকট অতীতে এক এগারোর সরকারি ছিল অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার ছিল), গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতায় শূন্যতা দেখা দেয়। ফলে জনগণের অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন তথা ভাগ্যের পরিবর্তনও বিঘ্নিত হয়। সার্বিকভাবে নির্বাচনের বিকল্প নেই। এ কারণে স্বাধীন দেশে বিভাজন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা, নাশকতা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিত্যাগ করে আমাদের ঐক্যের, সংহতি, সম্প্রীতির রাজনীতি করা জরুরি। কারণ, উন্নয়নের পূর্ব শর্তই হচ্ছে শন্তি, সম্প্রীতি এবং ঐক্য।

অবশেষে সম্পন্ন হয়েছে বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। গত ৭ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। একজন প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মোট নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪। এর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয় ২৮টি রাজনৈতিক দল। বিএনপিসহ নিবন্ধিত বাকি দল এবং আরো কিছু বিরোধী দল নির্বাচন বর্জন করেছে।  ভালোমতো নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় স্বস্তি ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। যদিও ভোট চলাকালীন চট্টগ্রামে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আর মুন্সীগঞ্জে একজনকে কুপিয়ে হত্যার খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশ্য ব্যালটে সিল মারা, কোথাও সিল মারা ব্যালট জব্দ ও পরে বাতিলের মতো কিছু ঘটনার খবর প্রকাশিত হয়েছে ।

প্রসঙ্গত বাঙালি বরাবরই উৎসব, অনুষ্ঠান প্রিয়। বিশেষ করে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, ঈদ, বাংলা নববর্ষ, ইংরেজী নববর্ষ তথা থার্টি ফাস্ট নাইট, ১০ মোহরমসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের পূজা-পার্বন, বড়দিন প্রভৃতি উৎসবে নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ নিজেদের সামিল হয়ে উদযাপন, উপভোগ আনন্দ করে। এই সব উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য মানুষের আগ্রহ, অপেক্ষার যেন শেষ নেই। ঠিক একই ভাবে দেশে পাঁচ বছর পর পর প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ তাদের নাগরিক অধিকার ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মুখিয়ে থাকেন। তা ছাড়া ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রতিটি বয়স প্রাপ্ত নাগরিকের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। কারণ তাদের পছনন্দের প্রার্থীকে  ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করার সুয়োগ পান। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের, নেতৃত্ব নির্বাচনের কিংবা সরকার পরিবর্তনের এই ব্যবস্থা বাংলাদেশসহ বিশে^র অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে এই প্রথা চালু আছে।

এবারের ভোটে প্রধানতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এশিয়ার প্রাচীনতম এই দলের রয়েছে সংগ্রামী ইতিহাস ও জাতির সকল অর্জনের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন আওয়ামী লীগসহ এর অংগ সংগঠন সমূহের গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আবুল হাশেম, মাওলানা ভাসানী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের এ পর্যায়ে নেতৃত্ব নেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর আজীবনের স্বপ্ন ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাঙালি জাতি পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করেন চলবে। কিন্তু ’৭৫’র ১৫ আগস্ট ক্ষমতালোভী, স্বাধীনতা বিরোধী উচ্চাভিলাসী কতিপয় উগ্র সেনা সদস্য কর্তৃক সপরিবারে শাহদাৎ বরণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন নস্যাৎ করা হয়। এরপর অনেক বাধা বিপত্তি, ছড়াই উৎরাই পেরিয়ে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায়। তার পর ২০০৯ থেকে আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চার বার রাষ্ট্র পরিচালনার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাশিত  স্বপ্নের ঠিকানায় উন্নীত করেন তিনি।  দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ কেন এ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে তাদের রায় দিলেন তার বিশ্লেষণ দরকার। প্রথমে আসে নিজস্ব অর্থায়নে বিশে^র অন্যন্য স্থাপনা পদ্মা সেতু, সেতুর উপর রেল সংযোগ স্থাপন। কার ও পর্যায়ক্রমে বলা যায়, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে দেশের প্রথম ট্যানেল, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে মধ্যে চালু, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্র স্থাপন, মহেশখালীতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, পায়রা সমুদ্র বন্দর, একশ ইপেজেড নির্মাণ সহ প্রায় দেড় ডজন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ‘বিশে^ উন্নয়নের রোল মডেলে’ পরিণত হয়েছে। তাই উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে  আরেকবার জনসেবার সুযোগ দিতে দেশবাসীকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমার ওপর ভরসা রাখুন। আসুন, সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করি।  অবশ্য ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন,  ‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি। গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুরোধ, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়- এমন কোনো উদ্ভট ধারণাকে প্রশ্রয় দেবেন না এবং ইন্ধন জোগাবেন না।’ তা ছাড়া নির্বাচনী বিভিন্ন সমাবেশে তিনি এসব অঙ্গীকার করে তার উপর আস্থা, বিশ্বাস রাখারও আহ্বান জানান।

স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করছে। আমাদের সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।’ গণমানুষের দল আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, দেশের মানুষের অর্থসামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করে। জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও ব্যাপক হারে অবকাঠামো উন্নয়ন হয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, সংঘাতে নয়।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার নানা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। বিশেষ করে, ‘দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের ১২ জুন নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। অবসান হয় হত্যা, ক্যু ও সামরিক শাসনের।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিরাট ব্যবধান। মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ঘটেছে। মানুষ আজ স্বপ্ন দেখে উন্নত জীবনের। স্বপ্ন দেখে সুন্দরভাবে বাঁচার।’ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও পরর্বতী পাঁচ বছরের উন্নয়নের রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়।

‘২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় যে সাফল্য আওয়ামীলীগ দেখিয়েছে, তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সাল থেকে স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলার ইশতেহার ঘোষণা করেছে।’ ‘ইতোমধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি টেকসই ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা শুরু হবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে কার্যকর করা জরুরি। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জও অনেক এবং বহুমুখী, বহুবিধ।  বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির লাগাম দ্রুত টানা, শিক্ষা খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বাড়ানো, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থদ্রুত দেশে আনা, অর্থপাচার রোধ করা, দেশে রাজপথে থাকা বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন মোকাবিলা, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, বন্ধু প্রতীম রাষ্ট্রসমূহকে আস্থায় আনা নতুন সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ।  প্রত্যাশা থাকবে এসব চ্যলেঞ্জ সফলতার সাথে মোকাবিলা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। পাশাপাশি সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ সমাজকে যথাযথ ভাবে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সহায়ক হবে। কারণ বিশাল তরুণরাই হচ্ছে মূল কারিগর। এবং তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি।’ প্রত্যাশা, দেশে উন্নয়ন ও গণতান্ত্রিক ধরা অব্যাহত রাখতে মানুষ শেখ হাসিনা তারও দলের উপর যে আস্থা রেখে নির্বাচনে তাদের সুচিন্তিত রায় দিয়েছেন। তার সঠিক মর্যাদা দেবেন তিনি। বিগত সময়ে প্রমান হয়েছে,  জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা নিরন্তর জেগে থাকেন বলেই আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখি সম্মানের সঙ্গে বিশ^ দরবারে মথা উঁচু করে দাঁড়াবার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি। অভিনন্দন নতুন সরকারের পথ চলাকে।

মোতাহার হোসেন : সাংবাদিক এবং সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম।

আজকালের খবর/আরইউ








http://www.ajkalerkhobor.net/ad/1724840661.gif
সর্বশেষ সংবাদ
বগুড়ায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ পালনে মানববন্ধন
ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষের আড়াই লক্ষাধিক টাকা ভাড়া বকেয়া
অবস্থান স্পষ্ট করা উচিৎ রেজওয়ানার, অভিমত শেখ সাদী খানের
পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলেন ইমরান খান
আতিফ আসলামকে পেছনে ফেললেন তালহা আনজুম
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
ইবিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়
জাতীয় ঐক্য ভাঙলে দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
গ্রামীণ ব্যাংক ও ইউনূস সেন্টার পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সামরিক উপদেষ্টারা
হোটেল ব্যবসা বন্ধের শঙ্কা, ত্রিপুরায় বাংলাদেশি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার
রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে বাংলাদেশ ইস্যুতে মেতেছেন ভারতীয়রা?
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft