প্রকাশ: রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:৪৭ PM
![](../2023/12/10/ak_1702216170.jpg)
সাপ্তাহখানেক বাকি পৌষ আসতে। অগ্রহায়ণ শেষের দিকে। ইতোপূর্বে সিলেটে শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আর শীত মানেই নানা স্বাদের পিঠার উৎসব। শীতের আমেজে সিলেট শহরের অলিগলির ফুটপাতে জমে উঠছে ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রি। সন্ধ্যার পর পরেই ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রির দোকানগুলোতে পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় করেন বিভিন্ন বয়সের নানা শ্রেণি-পেশার আবাল, বৃদ্ধ-বনিতা।
নগরীর কদমতলি, চণ্ডিপুর, তালতলা, রিকাবীবাজার, জিন্দাবাজার, কোর্টপয়েন্ট, জেলরোড, শিশুপার্ক, সোবহানীঘাট, শিবগঞ্জ, টিলাগড়, আম্বরখানা পয়েন্টসহ সবকটি পয়েন্ট ও মুড়ে পিঠা বিক্রির ধুম চলছে। ভাপা পিঠার পাশাপাশি বিক্রি করছে চিতাই পিঠাও।
পিঠা বিক্রেতারা বলেন, আমরা সারাদিন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকি, অবসর সময় বাড়তি আয়ের জন্য বিকেল বেলা পিঠা বানানোর কাজ করি। নতুন চালের গুঁড়া ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে খুব যত্নে পিঠা তৈরি করা হয়। পিঠাকে সুস্বাদু করার জন্য নারকেল ও গুড় ব্যবহার করা হয়। পিঠার সঙ্গে বাড়তি হিসেবে মরিচ, সরিষা, শুঁটকি, ধনেপাতা ও কালিজিরা ভর্তা ফ্রি দেওয়া হয়।
পিঠা খেতে খেতে আজকের সিলেটের সম্পাদক সাইফুর তালুকদার জানান, ‘সব ধরনের ক্রেতাদের দেখা যায় এখানে পিঠা খেতে আসেন। আবার কেউ কেউ, বাড়িতে ছেলেমেয়েদের জন্যও পিঠা কিনে নিয়ে যান। ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে পিঠা খাওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। তাই এখানে সেই স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছি।
পিঠা বিক্রেতা আজিজুল হক জানান, শীত আসতেই দোকানে কাজের চাপ অনেক। ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার হয়। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা বানানো ও বিক্রি। তবে শীত মাত্র শুরু এ কারণে কেনাবেচা একটু কম, সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেন হরতাল-অবরোধ চলমান থাকলে, এ বছর হয়তো আশানুরূপ বিক্রি না-ও হতে পারে।
আজকালের খবর/ওআর