প্রকাশ: রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৫:৫৪ PM
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গতানুগতিক কর্মসূচি অবরোধ-হরতাল বিএনপির ব্যর্থ আন্দোলনের ফলশ্রুতি। বিএনপির আন্দোলনকে পাত্তা দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ।
আজ রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের বিষয়ে সোচ্চার। তাদের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্ব মোড়লের সোল এজেন্ট।
সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকারের কথা বলতে হলে ফিলিস্তিনের কথা বলতে হবে। ১৮ হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে, এখনও চলছে। অথচ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ইসরায়েলের পক্ষে একমাত্র সমর্থন দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ থেকে আবারও প্রমাণ হলো- ইসরায়েল নামের দুষ্টু ছেলে আমেরিকারই সন্তান। সিস ফায়ারের বিরুদ্ধে (গাজার হত্যার বিরুদ্ধে) যারা ভোট দেয়, তাদের কাছে বিচার চেয়ে কী লাভ?
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। এই নৃশংসতা সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই হত্যার বিচার পর্যন্ত অনেকদিন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। জেলের ভেতরে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে পক্ষশক্তিকে শেষ করে দিতে এই হত্যাকাণ্ড।
তিনি বলেন, জিয়ার পর খালেদা জিয়াও গুম খুনের রাজনীতি করেছেন। জিয়া ও খালেদা জিয়ার আমলে যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তারপরও বিএনপির লজ্জা নেই। এদেশে বিএনপি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘৃণ্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনে রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
শরিকদের সঙ্গে আসনবন্টন প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারতের পর জনসভায় মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ।
আজকালের খবর/ওআর