প্রকাশ: শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ৭:২২ PM
![](../2023/12/02/ak_1701523448.jpg)
উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। এতে স্বস্তির হাওয়া বইছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা মানুষের মধ্যে। ইন্টারচেইঞ্জের নির্মাণকাজ শেষ হলে উত্তরবঙ্গের মানুষের চলাচলের পথ সুগম হবে, প্রসারিত হবে ব্যবসা বাণিজ্য ও সকল পণ্যসামগ্রী নিরাপদে যথাসময়ে যথাস্থানে পৌঁছানোর পথ ত্বরান্বিত হবে।
ভূমি অধিগ্রহণ শেষে এখন চলছে মূল পাইলিং নির্মাণকাজ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের হলে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রে গতি আসার পাশাপাশি এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নতি ও লাঘব হবে যানজট। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে এই ইন্টারচেইঞ্জ নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বরে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে প্রতিদিন চলাচল করে উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার প্রায় ২০ হাজার যানবাহন। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে প্রায় যাটজটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় এই মহাসড়কে চলাচলকারী দূরপাল্লার বাসের যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহনের চালকদের। আর ঈদের আগে ও পরে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি মহাসড়কে যানবাহনের গতি আনতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ এই পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। হাটিকুমরুল গোলচত্বরে নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন এই ইন্টারচেইঞ্জে থাকছে নানা সুযোগ-সুবিধা। আধুনিক নির্মাণশৈলীর এই ইন্টারচেইঞ্জটির ঢাকা প্রান্তে ৭৫৫ মিটার, পাবনা প্রান্তে ৯৮০ মিটার, রাজশাহী প্রান্তে ৮০০ মিটার ও রংপুর প্রান্তে ৮১০ মিটারজুড়ে বিস্তৃত থাকবে। হাটিকুমরুল থেকে ইন্টারচেইঞ্জের মাধ্যমে ভাগ হয়ে যানবাহনগুলো বিভিন্ন জেলায় চলে যাবে। এছাড়া থাকছে ৮টি ব্রিজ, ৫টি কালভার্ট, একাধিক আন্ডারপাস ও ফ্লাইওভারসহ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পার্শ্ব রাস্তা। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ করে এখন চলছে পাইলিং নির্মাণকাজ। আন্তর্জাতিক মানের এই ইন্টারচেইঞ্জটি নির্মিত হলে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রসার ঘটিয়ে সকল ভোগান্তি দূরীকরণসহ দ্রত সময়ে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাবে কৃষিপণ্য, সেই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনাও হ্রাস পাবে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ইন্টারচেইঞ্জ চালুর মধ্য দিয়ে কমে আসবে সড়ক দুর্ঘটনা। নিরাপদে মানুষ চলাচল করতে পারবে।
হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম জানান, এই ইন্টারচেইঞ্জ চালু হলে এই মহাসড়কে যানজট, সড়ক দুর্ঘটনা রোধের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।
প্রায় ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্টারচেইঞ্জটি নির্মাণ করছে চায়না একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশাব্যক্ত করেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক।
আজকালের খবর/ওআর