প্রকাশ: বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:৪৮ PM
নীলফামারীর ডিমলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ছেলের বিরুদ্ধে বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলে নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে জলঢাকা থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত প্রায় ১২টার দিকে জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চর এলাকা থেকে তাকে নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী মিলনপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আব্দুল আজিজকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান ছেলে নূর ইসলাম। নিহত আব্দুল আজিজ (৭০) ওই গ্রামের মৃত পহাদ্দি মামুদের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুল আজিজের তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। এক বছর আগে আজিজ তার বড় মেয়ে আরজিনাকে ১৬ শতাংশ জমি লিখে দেন। এরপর থেকে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার সকালে নিহত আজিজের সঙ্গে তার বড় ছেলে নূর ইসলামের বাড়ির পশ্চিম-উত্তর পাশে ভুট্টা লাগানোর সময় জমিতে মারামারি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে নূর ইসলাম হাতে থাকা কোদাল দিয়ে তার বাবা আব্দুল আজিজের মাথায় কোপ দেন। সেই কোপে আব্দুল আজিজ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে রক্তক্ষরণ শুরু হয় ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজিজ মৃত্যুবরণ করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। গতকাল বুধবার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশে নূর ইসলামকে নেকবক্ত এলাকার বুড়িতিস্তার চরে তার আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন। সেখান থেকে নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জলঢাকা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে বিধি মোতাবেক আসামিকে আদালতে পাঠানো হবে।
আজকালের খবর/ওআর