প্রকাশ: বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:১০ AM
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে অষ্টম দফায় বিএনপির ডাকা ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে এ অবরোধ। ২৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা দেশজুড়ে পালিত হবে হরতাল। এই নিয়ে অষ্টম দফায় অবরোধ ও তৃতীয় দফায় হরতাল আহ্বান করেছে তারা।
অবরোধের সকালে অবশ্য রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন প্রায় চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে সড়কে বেড়েছে মানুষের উপস্থিতিও। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যথাসময়ে আসতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে মানুষের উপস্থিতিও বাড়ছে।
অন্যদিকে, নাশকতা ঠেকাতে জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে, ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এবং চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির সব নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি এবং অবৈধ তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর উদ্যোগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজপথ, রেলপথ ও নৌ-পথে ২৪ ঘণ্টার অবরোধ এবং একই দাবিতে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণার পর জামায়াতে ইসলামীও আলাদাভাবে অবরোধ ও হরতালের অনুরূপ কর্মসূচি দিয়েছে। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, লেবার পার্টিসহ সমমনা দলগুলোও পৃথকভাবে অনুরূপ অবরোধ-হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
আজকালের খবর/এসএইচ