প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩, ১১:৫৫ AM
বাড়িতে ছারপোকা, তেলাপোকার উপদ্রব হলে বলা বাহুল জীবন অতিষ্ট! ছারপোকাকে রক্তচোষাও বলা হয় কারণ এই পোকা মানুষের অগোচরে রক্ত চুষে নেয়। বিছানা, বালিশ, মশারি, সোফা এদের পছন্দের আবাসস্থল। পুরোপুরি নিশাচর না হলেও ছারপোকা সাধারণত রাতেই বেশি সক্রিয় থাকে। ততোটাই বিরক্তিকর তেলাপোকা। থাকে সাধারণত রান্নাঘরে। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ক্ষতিকর। এদের থেকে নিস্তার পেতে রয়েছে কয়েকটি টিপস, যার মাধ্যমে দূর হবে তেলাপোকা ও ছারপোকা।
আজকে জেনে নিন কিভাবে ঘর থেকে দূর করবেন তেলাপোকা-ছারপোকা।
টিপস ১: প্রথমে আপনি সেবলন বা ডেটল যে কোন একটি নিবেন। আর লাগবে পানি।
২৫০ গ্রাম পানির জন্য ৪ চা চামচ সেভলন বা ডেটল নিবেন। পানির পরিমান কম বেশি নিলে সেভলনের পরিমানও কম বেশি নিবেন। এরপর পানি এবং সেভলন ভালভাবে মিলিয়ে একটি বোতলে নিবেন। ভালোভাবে মিলানোটা কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারণ ভালোভাবে না মিশালে এটি কার্যকরী হবে না। তারপর বোতলের সঙ্গে একটি স্প্রের মুখ লাগিয়ে স্প্রে করে দিবেন।
যেখানে যেখানে তেলাপোকা বা ছারপোকা ঘুরে বেড়ায় সেখানে সেখানে স্প্রে করে দিবেন। ৫ মিনিটের মধ্যে তেলাপোকা বা ছারপোকা মরে যাবে বা চলে যাবে। আর কখনও আসবে না। পরপর এক সপ্তাহর মত স্প্রে করলে দেখবেন আপনার ঘর পুরোপুরি তেলাপোকা বা ছারপোকা মুক্ত হয়ে যাবে।
টিপস ২: এই পদ্ধতির জন্য লাগবে শশা এবং পরিমাণ মত পানি। প্রথমে আপনি শশাটা কেটে নিবেন রাউন্ড সেপ করে। খুব বেশি মোটা করে কাটবেন না। যাতে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করা যায় সে রকম করে পাতলা পাতলা কাটবেন। খোসাসহ কেটে নিবেন।
এবার কুচানো শশাগুলো ব্লেন্ড করে নিতে হবে। আপনাদের কাছে যদি ব্লেন্ডার না থাকে তবে পাটায় খুব মিহি করে বেটে নিতে পারেন। একটা শশার জন্য তিন টেবিল চামচ পানি নিয়ে ব্লেন্ড করে নিবেন খুবই মিহি করে। এরপর একটি ব্রাশ নিবেন।
ব্রাশে শশার পেস্ট লাগাবেন। যেখানে যেখানে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি সেখানে সেখানে শশার পেস্ট লাগিয়ে নিবেন। তেলাপোকার উপদ্রব যতদিন বেশি থাকবে ততদিন লাগাবেন। উপদ্রব কমে গেলে কিছু দিন পরপর লাগালেও হবে। শশার পেস্ট বেশি ঘন আবার বেশি পাতলাও হতে পারবে না।
লাগানোর পর যে পেস্ট বেছে যাবে সেটি আপনি একটি বক্সে ভরে নরমাল ফ্রিজে রেখে দিবেন। পরে আবার আপনি একই পদ্ধতিতে এই পেস্ট ব্যবহার করতে পারবেন। সবাই এটি বাসায় চেষ্টা করে দেখুন আর ঘর থেকে চিরতরে তেলাপোকা ছরপোকা দূর করুন।
আজকালের খবর/এসএইচ