প্রকাশ: সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩, ৬:২০ PM

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার সিধুনগর গ্রামের লাবলু মিয়ার ভাড়া বাড়িতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে কাঁচাগোল্লা ও মিল্ক টফি নামের শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ চকলেট। কোনো লেভেল ছাড়াই বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব নকল শিশুতোষ খাদ্যপণ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাইসেন্স বা বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ খাদ্য তৈরির কারখানা। লাভলু নামের এক অসাধু ব্যবসায়ী নকল মোড়কে তৈরি করছে বিভিন্ন মিষ্টিজাতীয় শিশুখাদ্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাভলু ও তার শাশুড়ি রেহেনা মিলে নকল চকলেট ও কাঁচাগোল্লা বাজারজাত করার জন্য প্যাকেটজাত করছে। পাশেই ড্রামের ভেতর দেখা যায় পচা, মাছি ও মশা-পিপড়া যুক্ত চিনির ছাকরা ছাঁটা। নিম্নমানের চিনিসহ পচা দ্রব্য দিয়ে শিশুখাদ্য তৈরির কথা লাভলুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, ক্ষতিকর নকল খাদ্যপণ্য তৈরির এই কারখানা সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই উপজেলা সদর থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে পয়লা ইউনিয়নের সিধুনগর গ্রামে গড়ে উঠেছে। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রকে হাত করে অবৈধ খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিধুনগর গ্রামের বাসিন্দা বলেন, নোংরা পরিবেশে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে এই নকল শিশুখাদ্য বিক্রি করছে লাভলু।
উপজেলা স্যানেটারি পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত কারখানা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, দ্রুত পুলিশ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, কোনো অন্যায় কাজকে আমরা প্রশ্রয় দিতে পারি না। যেকোনো সময় ব্যবস্থা নেবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
আজকালের খবর/ওআর