বৃহস্পতিবার ১ মে ২০২৫
শিক্ষক সঞ্জিতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে দাবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৪:৪৬ PM
শরীয়তপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সঞ্জিত কুমারকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তোলা হয়।

লিখিত বক্তব্যে নিহতের ভাই অজিত কুমার দাস বলেন, সঞ্জিত কুমার দাস শরীয়তপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। ডেপুটেশনে কালিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে কাজ করতেন। গত বছরের ১১ মার্চ সাতক্ষিরার আশাশুনি থানার মিত্র-তেতুলিয়া গ্রামের বাবুল মিত্রের মেয়ে বীথি রানী মিত্রের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্ত ওই বিয়েটি ছিল প্রতারণা মাত্র। সঞ্জিতকে খাবারের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু খাওয়ানো হয়। এতে করে অসুস্থ্যবোধ করতে থাকেন সঞ্জিত। এমনকি বিয়ের রাতেই স্ত্রীর কাছে না থেকে এবং স্ত্রীকে সঙ্গে না নিয়ে খুলনার বাসায় ফিরে আসেন সঞ্জিব। এরপর কালিয়া চলে গেলে বিয়ের ১০ম দিনে গত ১৩ মার্চ স্কুলে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তেরখাদা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর শুনেই বীথি রানী মিত্র তার ভাই এবং একদল লোক সঞ্জিতদের বাড়িতে এসে লাশের হাত থেকে অংটিসহ ঘরে থাকা অন্যান্য গহণা ও নগদ টাকা নিয়ে যান। যাবার সময় আগে অন্যত্র বিয়ে করার জন্য সঞ্জিবের পরিবারকে মুক্ত করে যান। কিন্তু ঘটনার ১২ দিনের মাথায় সঞ্জিবের সরকারি টাকা ও সম্পত্তির ভাগ নিতে আবেদন করেন। হিন্দু শাস্ত্রের আইন অমান্য করে তার আবেদন গ্রহণ করে তার নামে চেক ইস্যু করা হয়।

তিনি বলেন, সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে প্রতারণা করে বিথীকা রানী বিথী সেজে সঞ্জিবকে হত্যা করেছেন। আবার তার টাকা ও সম্পত্তি লুটে নিচ্ছে চক্রটি। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় এখন তাদের পরিবারের সদস্যদেরও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছ বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানতে চাইলে বিথী রানী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অনেক আগে থেকেই আমার স্বামী সঞ্জিত অসুস্থ্য ছিলেন। যেটি বিয়ের আগে আমাদের জানানো হয়নি। এখন মৃত্যুর পর তার সম্পত্তিসহ টাকা-গয়না তারাই আত্মসাৎ করতে  আমাদের হত্যাকারী সাজানোর অপচেষ্টা করছেন।

আজকালের খবর/এসআই/আরইউ