বিশ্বকাপের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল। তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেললেও দল ঘোষণার পর সেসব উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। মূলত ফিটনেস সংক্রান্ত ইস্যুতে অভিজ্ঞ ওপেনারকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিসিবির সামাজিক মাধ্যমে বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পরই মিনহাজুল আবেদীন সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত কথা বলেছেন। সেখানে তামিমকে বাদ দেওয়া নিয়ে বলেছেন, তামিম ইকবালের অনেক দিন ধরেই ইনজুরি শঙ্কা। আপনারাও জানেন, ও ইনজুরি নিয়ে ফাইট করছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ফিটনেস ফিরে পেয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর একটা অভিযোগ এসেছে। ওর ফিটনেসের কথা চিন্তা করে, ইনজুরির যে কনসার্ন আছে সেটা মাথায় নিয়েই ওকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি।
অভিষেক হওয়ার পর থেকে সবগুলো বিশ্বকাপেই তামিম অংশ নিয়েছেন। ২০০৭ সালে শুরু। এরপর ঘরের মাঠে ২০১১ সাল। খেলেছেন ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপেও। থামলেন ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে। কারণ পুরোপুরি ফিট নন তিনি।
তামিমের ফিটনেস নিয়ে তুমুল আলোচনা হচ্ছিল গত দেড় দিন ধরে। শোনা গেছে হাফ-ফিট তামিমকে নাকি কোনওভাবেই দলে নিতে চাননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
যদিও বিষয়টি স্বীকার করেননি প্রধান নির্বাচক। তিনি জানালেন সবার সঙ্গে আলোচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা, এখানে সার্বিকভাবে সবার সঙ্গে আলোচনা করেই কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল টিম থেকে আপডেট নেওয়া হয়েছে, আমরাও সবাই মিলে আলোচনা করেছি এরপর সিদ্ধান্তটা এসেছে। এমন না যে, মেডিক্যাল টিম থেকে না জেনে কারও সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের কাছে মেডিক্যাল বিভাগের আপডেট আছে, সবারই আপডেট আছে তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আনফিট তামিম থাকলে বিশ্বকাপ খেলবেন না সাকিব-এই বিষয়ে গতকাল সন্ধ্যা থেকেই সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন মিনহাজুল আবেদীন, আমরা এ ধরনের কিছু জানি না। মিডিয়ায় অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু এ ধরনের কোনও তথ্য আমাদের কাছে ছিল না।
শুধু এই গুঞ্জন নয়। তামিম নাকি নির্বাচকদের বলেছিলেন ৫টির বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না তিনি। এই বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, তামিম ৫টা ম্যাচ খেলবে বা অন্য কিছু- এমন তথ্য ছিল না। তামিমের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে সব তো আর জানানো যায় না। সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু ইনজুরি আছে যেগুলো নিয়ে আপনি ঝুঁকি নিতে পারেন না। একটা খেলোয়াড়কে দলে নেওয়ার পর সে যেয়েই ইনজুরিতে পড়ে গেছে। তখন কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট বেকায়দায় পড়ে যায়।
তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে সেই অর্থে কোনও ওপেনার নেননি নির্বাচকরা। লিটন দাসের সঙ্গে আছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ তো আছেনই। নতুন ওপেনার তামিমকে বেছে নেওয়ার বিষয়ে নান্নু বলেছেন, অনেকগুলো ওপেনার আমরা দেখেছি। অনেকগুলো ওপেনার আমরা ট্রাই করেছি, তানজীদ তামিম আমাদের হাই পারফরম্যান্স দলে অনেক দিন ধরেই ছিল। ইমার্জিং কাপে যথেষ্ট ভালো খেলেছিল, সেই সুবাদে সুযোগ পেয়েছে। আমরা আশাবাদী ওকে যদি সামনে আরও কিছুদিন ট্রাই করি, ইনশাল্লাহ সে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে। আশা করছি, বিশ্বকাপে সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।
আজকালের খবর/বিএস