রবিবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:৩৯ PM
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট এবং মূল্যস্ফীতিতে নাকাল দেশবাসীকে স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। 

সম্প্রতি দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংস্থাটি পরামর্শ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসাবে বৃহস্পতিবার জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বৈঠক করেছেন। 

টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি। তাই অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের সঙ্গে আমরা আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে। 

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি এবং সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশও তার মাশুল গুণছে। 

মুখপাত্র মেজবাউল হক আরও বলেন, বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। 

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আরও অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চালানো হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন ধরে মুদ্রার বিনিময় হার বাংলাদেশ কৃত্রিমভাবে ধরে রেখেছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ডলারের বিনিময় হার অনেকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। এটি মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ। যদিও এখন তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতি কেবল বৈশ্বিক কারণে হচ্ছে না, নিজস্ব বাজার ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলত জ্বালানি তেল, এলএনজি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির দায় মেটানোর জন্য ডলার বিক্রি করে। পাশাপাশি সরকারের বিদেশি ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্যও ডলার বিক্রি করে। 

২০২২-২৩ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে রেকর্ড সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখনো বিক্রি করছে, যা মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

২০২২ সালের ২ জানুয়ারি ডলারের আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা ৮০ পয়সা, যা এখন ১১০ টাকা। অর্থাৎ এ সময়ে টাকার দরপতন হয়েছে ২৮ দশমিক ২১ শতাংশ। 

এর মধ্যে নীতি সুদহার বাড়ানো হলেও ব্যাংকঋণের সুদহার অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৯ শতাংশেই রয়ে গেছে। ফলে নীতি সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব তেমন একটা অনুভূত হয়নি।

আজকালের খবর/বিএস 








সর্বশেষ সংবাদ
ঠাকুরগাঁও হানাদারমুক্ত দিবস আগামীকাল
পাবনায় চার হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদে কৃষকের ভাগ্যবদল
কৃষিতে বিষ্ময়কর সাফল্যের টেকসই ব্যবস্থা দরকার
নাট-বল্টু খুলে নেওয়ায় আজ দেরিতে ছাড়ে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’
উপচে পড়া দর্শকে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজয়ের উল্লাস’
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
উপচে পড়া দর্শকে অনুষ্ঠিত হলো ‘বিজয়ের উল্লাস’
আদালতে লিখিত ব্যাখ্যা দিলেন নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাস
মানহানির মামলায় মালয়েশিয়া থেকে ক্ষতিপূরণ পেলেন জাকির নায়েক
ভূমিকম্প আতঙ্কে পদদলিত হয়ে কুমিল্লায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত
মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ২৯টি দল
Follow Us
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি : গোলাম মোস্তফা || সম্পাদক : ফারুক আহমেদ তালুকদার
সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : হাউস নং ৩৯ (৫ম তলা), রোড নং ১৭/এ, ব্লক: ই, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
ফোন: +৮৮-০২-৪৮৮১১৮৩১-৪, বিজ্ঞাপন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৯, সার্কুলেশন : ০১৭০৯৯৯৭৪৯৮, ই-মেইল : বার্তা বিভাগ- newsajkalerkhobor@gmail.com বিজ্ঞাপন- addajkalerkhobor@gmail.com
কপিরাইট © আজকালের খবর সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft