বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নালিতাবাড়ী শহরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণে প্রশস্ত হলো থানা রোড
নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৫৬ PM
শেরপুরের নালিতাবাড়ী শহরের থানা রোড গড়ে দশ ফুট প্রশস্ত হলো। আশপাশের বাসাবাড়ির পানি নিষ্কাশনের জন্য সঙ্গে রয়েছে ড্রেন। যেখানে দুটি রিকশা বিপরীত দিক থেকে এলে পাশাপাশি কেটে যাওয়ার রাস্তা ছিল না। সেখানে পুলিশের পিকআপ, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি থেকে ছোট ও মাঝারি সবধরনের যানবাহন চলবে অনায়াসে। ফলে ঘনবসতিপূর্ণ আমবাগানবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা কেটে পূরণ হলো স্বপ্ন। রাস্তা প্রশস্ত করতে গিয়ে আশপাশের অনেকের জায়গা পড়ায় গাটের টাকা খরচ করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। এর পুরোটাই বাস্তবায়ন করেন শেরপুরের দ্বিতীয় শ্রেণির পৌরসভা নালিতাবাড়ীর টানা দ্বিতীয়বারের মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক।

জানা গেছে, শহরের ৪নং ওয়ার্ডের আমবাগান মহল্লার চেয়ারম্যান রোড থেকে থানা গেট পর্যন্ত সড়কটি ছিল অত্যন্ত সরু। কোনো কোনো অংশে একটি রিকশা চললে পাশ কেটে অন্য রিকশা যাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। ফলে রাস্তাটি প্রশস্ত করা ছিল জরুরি বিশেষ করে- থানা, জেলা পরিষদ ডাকবাংলো, কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল কাম ট্রেনিং সেন্টার, সার্জেন্ট আহাদ প্রাঙ্গণ, আব্দুর রশিদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চারু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর বেশিরভাগ মানুষ এ পথে যাতায়াত করে থাকেন। এছাড়াও ঘনবসতি হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের কোনো ব্যবস্থাই ছিল না। ছিল না এ্যাম্বুলেন্স যাতায়াতের ব্যবস্থা। এমতাবস্থায় শহরের অতিগুরুত্বপূর্র্ণ এ রাস্তাটি প্রশস্ত করা ছিল সময়ের দাবি। একদিকে বরাদ্দের অপ্রতুলতা অন্যদিকে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল জায়গা সংকট। আশপাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার এ রাস্তাটির দুই পাশে ছিল মালিকানা জমি ও বাউন্ডারি ঘেরা। ফলে কোনোভাবেই রাস্তাটি প্রশস্ত করা যাচ্ছিল না। এমতাবস্থায় পৌর মেয়র আবু বক্কর সিদ্দিক উদ্যোগ নেন রাস্তাটি প্রশস্ত করার পাশাপাশি ড্রেন নির্মাণের।

সূত্র জানায়, রাস্তাটি পুনর্নির্মাণের শুরু থেকেই ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয় আশপাশের বাসিন্দাদের কাছ থেকে। অনেকেই জায়গা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে স্থানীয় গণ্যমান্যদের সহযোগিতায় প্রতিকূলতা ঠেলে অবশেষে রাস্তাটি প্রশস্ত করা হয়। এতে কোনো কোনো জমির মালিককে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পর্যন্ত গুনতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

পৌর প্রকৌশল সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান আরসিসি সড়ক থেকে থানা গেট পর্যন্ত ২৩০ মিটার এবং একই সঙ্গে চেয়ারম্যান সড়কের মোড় থেকে ডা. আব্দুল হামিদের বাসার গেট পর্যন্ত আরো প্রায় ৩০ মিটার মিলে মোট ২৫০ মিটার রাস্তা নির্মাণ কর হয়। সিসি ঢালাই এ রাস্তাটির ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে এলাকাবাসী জানান, রাস্তাটি প্রশস্ত হওয়ায় দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। এখন থেকে অগ্নি নির্বাপনের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্সসহ সবধরনের মাঝারি যানবাহন এ পথে চলতে পারবে।

আজকালের খবর/ওআর