
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৮ আসনের মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন দয়াল কুমার বড়ুয়া। প্রায় প্রতিদিনই উত্তরা, খিলক্ষেত, উত্তরখান, দক্ষিণখান ও তুরাগ এলাকায় পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে জনগণের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের আস্থাভাজন হতে চেষ্টা করছেন।
দয়াল কুমার বড়ুয়া ১৯৭১ সালে ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ডেমসা গ্রামের বৌদ্ধ ধর্মের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। যার বাবা অমেন্দ্রলাল বড়ুয়া একজন সমাজসেবক, গরিবের বন্ধু, সাতকানিয়ার লোহাগাড়ায় হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির লিডার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন মানবিক লোক হিসেবে ধর্ম-কর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের পাশে ছিলেন।
দয়াল কুমার বড়ুয়ার মমতাবতী মা নীলাবতি বড়ুয়া ছিলেন ধানশীল ও মানবিক ব্যক্তি। তারই ঔরশ জাত সন্তান দয়াল কুমার বড়ুয়া ছোটবেলা থেকেই বাবার আদর্শ হৃদয়ে লালন-পালন করে একজন মানবিক ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে গেছেন।
দয়াল কুমার বড়ুয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে অনার্স মাস্টার্স শেষ করে লন্ডন থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে একজন সফল ব্যবসায়ি হিসেবে নিজেকে সমাজ সেবার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। নিজের মা বাবার নামে অমরন্দ্র-নীলাবতি ফাউন্ডেশন নামে একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চালু করেন। যার মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গীর্জার উন্নয়নে কাজ করেন এবং বিভিন্ন প্রাকুতিক দুর্যোগে গরিব-দুঃখীদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন দয়াল কুমার বড়ুয়া।
দয়াল কুমার বড়ুয়া বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই, জাপান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নরসিংদী চেম্বার অব কমার্সের বিজনেস ফোরামে থেকে বাংলাদেশ ব্যবসায়ি সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন।
দয়াল কুমার বড়ুয়া গত ৬ বছর যাবত বৌদ্ধ ধর্মী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসাবে বৌদ্ধ কমিউনিটির সফল সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন। একজন সফল সংগঠক ও মানবিক ব্যক্তি হিসেবে দেশ বিদেশের কমিউনিটিতে দয়াল কুমার বড়ুয়ার খ্যাতি রয়েছে। দয়াল কুমার বড়ুয়া দীর্ঘদিন যাবত ১৮ আসনে বসবাস করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এই আসনেই অবস্থিত।
ঢাকা-১৮ আসনটি রাজধানীর সবচাইতে বড় এরিয়া নিয়ে অবস্থিত। এলাকাটি মডেল হলেও এ আসনে আগে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা সেই রূপে আসনটিকে সাজাতে পারেননি। নতুন করে তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ সিটির সঙ্গে যুক্ত হলেও গত ৫ বছরে শহুরে সুবিধা পায়নি এলাকার জনগণ। কিছু উন্নয়ন কাজ শুরু করা হলেও অর্থাভাবে শেষ করা যাচ্ছে না গত দুই বছর থেকে। এর বাইরে এলাকার জলাবদ্ধতা এবং পয়ঃনিষ্কাশন, গ্যাসের সমস্যা এখনো প্রকট। আর মডেল টাউন উত্তরার যানজট এবং ফুটপাত দখলের কারণে জনদুর্ভোগ চরমে। এসব সমস্য নিয়ে দয়াল কুমার বড়ুয়া প্রতিনিয়ত এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলছেন, দিচ্ছেন সমাধানের কার্যকর পন্থাও।
একজন ভালো এবং যোগ্য নেতৃত্ব পারে এই শহরটিকে মডেল হিসেবে সাজাতে। নিজের নয়, মানুষের জন্য সবকিছু করার চিন্তা যাদের থাকবে তাদেরকেই দিতে হবে এলাকার নেতৃত্বে।
জাতীয় পার্টির এ নেতা লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এ লক্ষ্যে তিনি একাধিক মতবিনিময় সভা করেছেন সেক্টরবাসী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে। এ সব মত বিনিময় সভায় দেওয়া তার বক্তব্যে সবাই বেশ আশাবাদি হয়ে উঠছেন বলে জানাগেছে।
আজকালের খবর/ওআর