প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৬:৫১ PM
জামালপুরে উদ্বোধনের ছয় মাস পরও শুরু হয়নি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। গত ১০ মার্চ সারা দেশের বেশ কয়েকটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিনে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও উদ্বোধনের ছয় মাস পরও চলছে ৫০ শয্যার কার্যক্রম। ৫০ শয্যা হিসেবে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিভাগের ২৩ জন ডা. থাকার কথা থাকলেও মোট ২৩ জনের স্থলে রয়েছে ১১ জন, ১২ জনের পদই শূন্য। শয্যাসঙ্কটে থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তিরত রোগীদের। শয্যাসঙ্কট থাকার ফলে মাঝেমধ্যে নারী-পুরুষ উভয় হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসার ভর্তি ছাড়া সাধারণ রোগীরা স্লিপ নিয়ে ডা. দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে সেবনের মাধ্যমে সুস্থ হচ্ছে এরকম সংখ্যাই অধিকাংশ। জানা গেছে, পুরাতন ভবন থাকাবস্থায় চিকিৎসার যন্ত্রাংশ যা ছিল জায়গাসঙ্কটের কারণে ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি এবং ওই সময়ে অনেক সেবা থেকেই বঞ্চিত ছিলেন রোগীরা। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাথলজি বিভাগে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান স্বল্প খরচে শুধু সরকারি নির্ধারিত ফি দিয়ে প্যাথলজি বিভাগে যেসব পরীক্ষা রয়েছে সেসব সেবা পাচ্ছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা রোগীরা।
জরুরি বিভাগে দায়িক্তরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার জাহাঙ্গীর আলম জানান, একজন মেডিকেল অফিসার ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসাররা ২৪ ঘণ্টা জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে জরুরি বিভাগে রোগীদের সুচিকিৎসা দিচ্ছি। এ ব্যাপারে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইফুল ইসলাম জয় জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও ৫০ শয্যায় চলছে বর্তমানে। বিভিন্ন বিভাগে ডা. যা থাকার প্রয়োজন তা নেই এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রায় অর্ধেক পদই শূন্য। তবে পদ শূন্য থাকলেও দায়িত্বরত চিকিৎসকরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবশিষ্ট আরো ৫০ শয্যাসহ যে সকল সরঞ্জামাদি প্রয়োজন ইতোমধ্যে চাহিদা আমরা পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রণয় কান্তি দাস জানান, সারা বাংলাদেশে একসঙ্গে অনেকগুলো হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্র পাঠিয়েছি সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ডাক্তার ও সরঞ্জামাদি পেতে সময় লাগবে।
আজকালের খবর/ওআর