গাজী মো. গিয়াস উদ্দিন বশির, ঝালকাঠি
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৭:০৯ PM

ঝালকাঠিতে প্রতিবছরের মতো এবারো আমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষিরা এবার আমড়ার দামও পাচ্ছেন চড়া। পদ্মাসেতু পেরিয়ে দ্রুত দেশের বিভিন্ন এলকায় রপ্তানি করতে পারছেন বলে দামও পাচ্ছে ভালো। যেকারণে আমড়াচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
ঝালকাঠির সু-স্বাদু আমড়ার দেশজুড়ে খ্যাতি রয়েছে। বর্ষা মৌসুমের এই ফলটি স্থানীয় বহু মানুষের আয়ের অন্যতম উৎস। এ জেলার উৎপাদিত আমড়া শুধু ঢাকা নয় দেশের প্রায় সব জেলায় সরবরাহ করা হয়। দিন দিন এর চাহিদা বেড়েই চলছে। আমড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, পদ্মাসেতু চালুর ফলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। সেই সঙ্গে টাটকা ফলমূল তিন থেকে চার ঘণ্টার ব্যবধানে পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকাসহ বড় বড় শহরে। আর এতে ভালো লাভ হচ্ছেন আমড়াচাষি ও ব্যাপারিরা।
দক্ষিণের জনপদের ছোট জেলা ঝালকাঠির আবহাওয়া ও জলবায়ু আমড়া চাষের উপযোগী। ফলে আমড়ার উৎপাদনও হয় বেশ ভালো। এখানকার আমড়া আকারে অনেকটা বড়, খেতেও বেশ সুস্বাদু। মানভেদে প্রতিটি গাছের ফল বিক্রি হয় তিন থেকে ছয় হাজার টাকায়। অন্যদিকে তেমন কোনো পরিচর্যা ও সার-কীটনাশক ছাড়াই এর ফলন পাওয়া যায়। মৌসুমে বাজার ছাড়াও পথে পথে প্রচুর বিক্রি হয় আমড়া। আমড়া অর্থকরী ফল হিসেবেও নিজের জায়গা করে নিয়েছে এই জেলায়। ফলে আমড়া চাষে কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলছে। জেলায় বেড়ে গেছে চাষ ও উৎপাদন। এদিকে গত বছর পদ্মাসেতু চালুর পর থেকেই বরিশাল অঞ্চলের কৃষিপণ্য সরবরাহে সহজলভ্য হয়েছে। খুব অল্প সময়ে টাটকা কৃষিপণ্য পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
ঝালকাঠি জেলার পেয়ারা ও আমরাড় সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ভালো লাভবান হচ্ছেন ঝালকাঠির ব্যবসায়ীরা। জেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, জেলায় এবছর ৫০০ হেক্টর জমিতে আমড়ার উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার টন। কৃষি অফিসের দাবি সামনের বছর আমড়ার ফলন আরো বেড়ে যাবে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ঝালকাঠি জেলায় ৩২টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার সব এলকায়ই আমড়ার চাষ হচ্ছে।
আজকালের খবর/ওআর