প্রকাশ: সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ৮:৩১ PM আপডেট: ১১.০৯.২০২৩ ৮:৩৪ PM

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আদালত থেকে ভাষানটেক থানায় পাঠানো হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভাষানটেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুনশী গণমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত কারাদণ্ডের পাশাপাশি তারেক রহমানকে ৩ কোটি ও জুবাইদা রহমানকে ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন। তবে দুই আসামিই পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে সাজা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নথি আদালত থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় পৌঁছানো হয়।
গত ১০ আগস্ট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামানের আদালত থেকে রাজধানীর ভাষানটেক থানার ৬,শহীদ মইনুল রোডের বাড়ির ঠিকানায় তারেক-জুবাইদার পরোয়ানা পাঠানো হয়। এ পরোয়ানা তামিলের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট থানার। গত ২৪ জুলাই এ মামলায় আদালতে সবশেষ সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম। তার সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
গত ২১ মে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক জহিরুল হুদার সাক্ষ্যের মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। গত ১৩ এপ্রিল একই আদালত তারেক ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এ মামলায় তাদের পলাতক দেখানো হয়।
জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।
আজকালের খবর/ওআর