প্রকাশ: রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩, ৬:১৭ PM আপডেট: ২৮.০৮.২০২৩ ৫:৫০ PM
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা দুই মামলায় এক বছর ধরে কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহিদ মিনার, বটতলা থেকে ট্রান্সপোর্ট চত্বরে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মিছিল থেকে ‘সংস্কার নয় বাতিল চাই, সিএসএ বাতিল চাই; খাদিজা জেলে কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই; লেখক মোশতাক মরল কেন, শেখ হাসিনা জবাব চাই; মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খাদিজার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
মিছিলপরবর্তী সমাবেশে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইজা মেহজাবিন প্রিয়ন্তীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি।
তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে শুধুমাত্র একটি ওয়েবিনার হোস্ট করার অপরাধে ৩৬৫ দিন ধরে জেলে থাকতে হচ্ছে। ৬ বার খাদিজার জামিন নাকচ হয়েছে, ২০-২১ বছরের একটা মেয়েকে এই রাষ্ট্রের কিসের এত ভয়? এই রাষ্ট্রে সরকারের সমালোচনা করলেই তারা গলাটিপে ধরছে। এটা একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া জাহান বলেন, অল্প বয়স্ক একটা মেয়েকে এভাবে জামিন নাকচ করে কেন রেখে দেওয়া হচ্ছে? এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট মূলত ক্ষমতাসীনদের জন্য, এই অ্যাক্টের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে নিপীড়ন ছাড়া আর কিছু করা হচ্ছে না। খাদিজার যে ক্ষতি হয়েছে সেগুলো সরকারের সম্পূর্ণ পুষিয়ে দিতে হবে।
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ্য অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, রাষ্ট্রীয় গুন্ডাবাহিনী ৩৬৫ দিন ধরে খাদিজাকে কাশিমপুরে রেখে দিয়েছে। এই কাশিমপুরের কনডেম সেলে লেখক মোশতাক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে, সেখানের অত্যাচারের সম্পর্কে আমরা কার্টুনিস্ট কিশোরের কাছে শুনেছি। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষ এই সরকারের নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের আস্থা এই সরকার হারিয়ে ফেলছে। এই দেশকে যদি বাঁচাতে হয় তবে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে।
আজকালের খবর/ওআর