পাকিস্তানে ‘হাজারা এক্সপ্রেস’ নামের একটি ট্রেনের অত্যন্ত ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। রবিবার (৬ আগস্ট) সিন্ধু প্রদেশের নওয়াবশাহ শহরের সারহারি রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেনটি করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডির দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সারহারি স্টেশনের কাছে এলে হঠাৎ করেই সেটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ট্রেনটিতে বিপুলসংখ্যক যাত্রী থাকায় আরও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। আহত যাত্রীদের নবাবশাহ পিপলস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পর সিন্ধুর অভ্যন্তরীণ জেলাগুলোতে ট্রেন চলাচল স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
পাকিস্তান রেলওয়ের ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার (ডিসিও) মহসিন সিয়াল বলেছেন, ঠিক কয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, তা এখনো বলা যাচ্ছে না। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমি দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সারহারি রেলস্টেশনের আউটার সিগন্যালে এ ঘটনা ঘটেছে। কেউ কেউ বলছেন পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, কেউ বলছেন আটটি আবার অনেকে বলছেন ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
শহীদ বেনজিরাবাদ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মুহাম্মদ ইউনিস চান্দিও বলেন, এটি একটি বড় দুর্ঘটনা। ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করার জন্য উদ্ধারকারী দল প্রয়োজন। আমাদের দল ও কমিশনার ঘটনাস্থলে গেছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা আমি বলতে পারছি না।
পাকিস্তানের রেলওয়ে ও বিমান চলাচল মন্ত্রী খাজা সাদ রফিক বলেছেন, কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনায় সতর্ক করা হয়েছে। রেল সচিব ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। এরই মধ্যে শুক্কুর ও নবাবশাহ হাসপাতালে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, ট্রেনটি স্বাভাবিক ও নির্দেশিত গতিতেই চলছিল। কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল, নাকি কেউ পরিকল্পিভাবে এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি নবাবশাহ জেলা প্রশাসককে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র: ডন, জিও নিউজ