প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ৬:৪১ পিএম
সচ্ছল কর্মজীবী মানুষদের ডে-কেয়ার সেন্টারের আদলে নারী গৃহকর্মী ও গার্মেন্টসকর্মীদের সন্তানদের সঠিক লালন-পালনের দিকেও রোটারিয়ানরা নজর দিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান নর্থ ক্লাবে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্সের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে রোটারির যোগসূত্র তৈরি করতে পারলে দেশের বঞ্চিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে একটি নতুন মাইলফলক স্থাপন সম্ভব। নতুন রোটারি বছরে ক্লাবের প্রথম এ সভার শুরুতেই নতুন সভাপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান ক্লাবের বিদায়ী সভাপতি রোটারিয়ান জসিমউদ্দিন। এরপর রোটারি রীতি অনুসারে নতুন সভাপতিকে প্রেসিডেন্সিয়াল কলার পরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া নতুন বোর্ডকে শপথ বাক্য পাঠ করানো এবং নতুন ক্লাব সেক্রেটারিকে কলার পরিয়ে দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে ক্লাব সভাপতি মো. রিফাত আমিন তার আগামী বছরের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরতে গিয়ে ক্লাবের প্রতিটি সদস্যের উদ্যমকে কাজে লাগিয়ে আর্তমানবতার সেবায় ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, এ বছর ক্লাবের পক্ষ থেকে স্কুলভিত্তিক সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে। এলাকাভিত্তিক উন্নয়নে ক্লাবে ‘ওয়ান মেম্বার ওয়ান রেসপন্সিবিলিটি’ পলিসি ঘোষণা করেন তিনি। ক্লাবের নিয়মিত সমাজসেবামূলক কাজ চলমান রাখার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে তিনি নারীবান্ধব পরিবহনসেবা নিশ্চিতে দেশের প্রতিটি ট্রেনে সেনিটারি ন্যাপকিন, পিরিয়ড পেইনকিলার ও জরুরি ওষুধ পরিসেবাসহ ফার্স্ট এইড বক্স প্রদান কর্মসূচী এবং জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলায় পরিবেশবান্ধব পাটচাষে কৃষকদের সহযোগিতা করতে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্স এবছর বিশেষভাবে উদ্যোগী থাকবে বলে জানান।
ক্লাবের ৮৯তম এ সভায় নতুন সভাপতি রোটারিয়ান মো. রিফাত আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ডা. মাশিয়াত মায়েশা আহমেদ এবং ক্লাব এডভাইজার রোটারিয়ান মহিউদ্দিন পলাশ।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. ফাতেমা দেশে শিশু হৃদরোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে উল্লেখ করে স্কুলভিত্তিক কার্যক্রমে শিশুদের হৃদরোগ পরীক্ষা ও সচেতনতা কার্যক্রম যুক্ত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। একইসঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট কিংবা বিভিন্ন শকে আকস্মিক মৃত্যুর হার কমাতে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে সিপিআর প্রশিক্ষণ প্রদানের কর্মসূচী গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ডা. নুরুন্নাহার ফাতেমা রোটারির সেবামূলক কার্যক্রমে অনুপ্রাণিত হয়ে রোটারি ক্লাব অব গুলশান টাইগার্সের সদস্যপদ গ্রহণ করায় এবং অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ক্লাবের অনারারি সদস্যপদ গ্রহণে সম্মত হওয়ার দু’জনকেই রোটারি পিন পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। সভা শেষে তিনজন অসহায় প্রতিবন্ধী প্রতিনিধির হাতে তিনটি হুইলচেয়ার তুলে দেওয়া হয়।
আজকালের খবর/আরইউ