প্রকাশ: শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩, ৬:৪৭ পিএম

সিলেটের সবচেয়ে বড় হাট কাজীর বাজার হাট। ইতোমধ্যে ছোট-বড় নানা ধরনের গরুতে ভরে গেছে হাট। তবে গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এ বছর সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশু আছে প্রায় দুই লাখ ১৩ হাজার। সিলেট নগরীর প্রধান গরুর হাট কাজিরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত বছর ৭০-৮০ হাজার টাকায় যে গরু বিক্রি হয়েছে তা এবার লাখের বেশি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।
খামারি আব্দুল আলী, ফখরুল ইসলাম ও মখলিছুর রহমান জানান- এবার আগে থেকেই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বাড়ায় কম দামে বিক্রি করলে লোকসানে পড়বেন তারা।
আজ শুক্রবার জরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ছোট-বড়, ষাঁড়-বলদ, বকনা-গাভি মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার গরু হাটে এসেছে। তবে হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট ও মাঝারি গরু বেশি চোখে পড়েছে। দক্ষিণ সুরমার উপজেলার কামালবাজার গ্রামের খামারি মো. আবদুল আলী হাটে বিক্রির জন্য পাঁচটি ষাঁড় এনেছেন। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিটি গরুর দাম চাইছেন ৭৫ থেকে ৯৫ হাজার টাকা।
অপর খামারি জামাল জানান, গরুর খাবারের দাম বেশি। বছরে একটি গরুর পেছনে ১৪ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে।
কাজীর বাজার হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া বলেন, গত বছর যে গরু ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেরকম গরু এখন ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনতে হবে। ভারত থেকে গরু আসছে না। তাই দাম কিছুটা বেশি। গোলাপগঞ্জ থেকে গরু কিনতে আসা শাকিল বলেন, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছর যে গরু ৬০ হাজার টাকা ছিল, সেই গরু এখন কিনতে হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার টাকায়।
সিলেট জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মু. আলমগীর কবির বলেন, ‘এবার সিলেট বিভাগে পশুর সংখ্যা বেশি। স্থানীয় ও খামারিদের কাছে থাকা কোরবানিযোগ্য পশু মিলিয়ে চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়ে যাবে। আশা করছি আমাদের চাহিদা পূরণ করে সিলেটের পশু দেশের অন্য জায়গায় যাবে বিক্রির জন্য।
আজকালের খবর/ওআর