প্রকাশ: সোমবার, ১৯ জুন, ২০২৩, ৭:৩৮ PM
মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে সময় যত গড়াচ্ছে ততই বেড়ে চলছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। হাতেগোনা কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যবসার মধ্যে মোবাইল বাণিজ্য খানিকটা দ্রুত গতিতে প্রসার পেয়েছে। যা ব্যপক সাড়া ফেলছে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
সংযুক্ত-আরব-আমিরাতের শারজাহ্ প্রদেশে অবস্থিত ‘শারজাহ পাবলিক পার্ক’। যে পার্কের পাশে রয়েছে ‘রুলা মল’ নামের বড় একটি শপিং মল, যে মলে অবস্থান করছে বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের একাধিক প্রতিষ্ঠান।
আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে। এছাড়াও ল্যাপটপ, ব্যাটারি কানেক্টর, মাইক্রোফোন, হেডফোন কানেক্টর, মেমোরি কার্ড, মাল্টিমিডিয়া স্পিকার সহ মিলছে মোবাইল ফোনের যাবতীয় সরঞ্জাম।
মোবাইল ব্যবসার পাশিপাশি এ শপিং মলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের কাপড়ের দোকানও চোখে পড়ার মতো।
এক-একটি মোবাইল এর শো রুমে কাজ করছে তিন থেকে চার জন সহযোগী। দিনে প্রায় তিন হাজার দেরহাম বেচাকেনা হয় যা বাংলা টাকায় ৯০ হাজার টাকা। সে হিসাবে মাসে ৯০ হাজার দেরহাম যা বাংলা টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ২৭ লাখ।
বাংলাদেশি মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও রুলা মল শপিং সেন্টারের ‘মাদিনাতুল দাবাব’র মালিক মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, আমরা চেষ্টা করি বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে একটি ভালো ফোন দেওয়ার জন্য যাতে আমরা দেশের সুনাম আমিরাতে ছড়িয়ে দিতে পারি।
দারুল তৌফিক মোবাইল ফোনটি আরের মালিক মোহাম্মদ দিদারুল আলম দৈনিক আজকালের খবরকে বলেন, একটি সময় ছিল যে সময়টিতে এ রুলা মল ভারতীয় নাগরিকদের দখলে ছিল, কিন্তু বর্তমানে আমাদের গর্ব হচ্ছে যে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশিদের অবস্থান দেখে যা আমাদের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য আলো দেখাচ্ছে এ ব্যবসা।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ মোবাইল মার্কেটে সাধারণত ক্রেতাদের চাহিদা থাকে আই ফোন, রেডমি, স্যামস্যাংয়ের ওপর যা হরহামেশাই এসব বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন নতুন বাংলাদেশিদের এসব স্মার্টফোনের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির মাধ্যমে কেবল মালিকপক্ষই আনন্দিত এমনটা নয়, বরং এসব বাঙালি প্রতিষ্ঠানে সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। যার মাধ্যমে একদিকে নিজে সাবলম্বী হচ্ছে অন্যদিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংকের রেমিট্যান্স।
আপন দেশ/আরইউ