প্রকাশ: রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩, ৮:২২ PM
বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ চার দফা দাবিতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।
রবিবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- ২০২৩-২৪ অর্থরছরের বাজেটে বিড়ির শুল্ক ১৮ টাকা থেকে দুই টাকা কমিয়ে ১৬ টাকা করা, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি পুনর্নির্ধারণ, সিগারেট ও বিড়ির অগ্রিম আয়করের বৈষম্য দূর করা এবং বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা। এ সময় শ্রমিক নেতারা প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়িতে শুল্ক বৃদ্ধি না করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে তারা প্রত্যয় বক্ত করেন, দেশের বিড়ি শ্রমিকেরা অতীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষতেও থাকবে।
আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেন। ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। এ সময় বক্তব্য রাখেন- বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তরা আরো বলেন, বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানি দেশীয় টোব্যাকো কোম্পানির মার্কেট শোষণ করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ডলারে পরিণত করে বিদেশে পাচার করছে। দেশের ১৬২ জন সংসদ সদস্য বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্য ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সুপারিশ করেন। কিন্তু সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা সংসদ সদস্যদের সুপারিশকে উপেক্ষা করে প্রস্তাবিত বাজেটে এই স্তরের সিগারেটের মূল্য সামান্য পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যস্তর ৪০ থেকে ৫০ টাকা করা হলে প্রতি বছর আরো প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতো। যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ঋণ পরিশোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করতো।
আজকালের খবর/ওআর