প্রকাশ: শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩, ১১:৪৭ AM

মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে দিন দিন বাংলাদেশি মালিকাধীন বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাচ্ছে,দিন দিন তাদের ব্যবসার পরিধি বাড়ছে এবার সেই তালিকায় বোরকা ব্যাবসায় বাংলাদেশিরা সুফল বয়ে আনছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৭টি প্রদেশ আবুধাবি, আজ্মান, ফুজাইরাহ্, শারজাহ্, দুবাই, রাস আল-খাইমাহ্ এবং উম্ম আল-কাইওয়াইন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্হান গুলোতে রয়েছে এসব বোরকার দোকান তবে দুবাই ও শারজাহ ও আজমান প্রদেশে প্রতিষ্ঠান গুলো বেশি।
এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছে হাজার হাজার বাংলাদেশি। সমগ্র আমিরাত জুড়ে যতগুলো বোরকা বা আবায়ার দোকান ও ট্রেইলারিং সপ আছে তার ৮০ ভাগই বাংলাদেশি মালিকানাধীন বা বাংলাদেশিদের দ্বারা পরিচালিত।
গুণগত মান আর মূল্যর দিক দিয়ে বাংলাদেশি দোকানগুলোতে বোরকাগুলো খুবই উৎকৃস্ট যার কারণে স্থানীয় আরবীসহ বিভিন্ন প্রদেশের প্রবাসীরা এসব দোকান থেকে ক্রয় করে।
প্রবাসী ব্যবসায়ীরা জানান,আবায়া বা বোরকা তৈরির জন্য বাংলাদেশিদের বেছে নেন আরবরা। কেননা বাংলাদেশিরা দক্ষ হাতে এগুলো তৈরি করে থাকেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি। তাছাড়া এ শিল্পের জন্য বাংলাদেশিদের দক্ষতা ও সুনাম ইতোমধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিটি দোকানে ৩ থেকে ৪ জন কর্মী কর্মরত থাকে এসব দোকানে দিনে প্রায় ৩ হাজার দেরহাম যা বাংলা টাকায় ৯০ হাজার টাকা এবং মাসে ৯০ হাজার দেরহাম বাংলা টাকায় প্রায় ২৭ লাখ বিকিকিনি হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ প্রদেশ এর প্রবাসী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান বলেন এক সময় এই আবায়া বা বোরকা ব্যাবসা ভারতীয় নাগরিক ও ইরানি নাগরিক এর দখলে থাকলে ও বর্তমানে এ ব্যাবসা বাংলাদেশিদের মাঝে আলো দেখাচ্ছে।
এসব বোরকা বা আবায়া আর গাউন নিতে আসেন বিভিন্ন দেশের এর প্রবাসী ও আরবিরা যা সুনামের সাথে বিকিকিনি করে থাকে বাংলাদেশি আবায়া বোরকার দোকান এর প্রতিষ্ঠান গুলো।
দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশি প্রবাসীর সংখ্যা একই সাথে বাড়ছে বাঙালি এসব প্রতিষ্টান যা শুধুই মালিকপক্ষ লাভবান তা কিন্তু নয়! এসব দোকানে সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন কর্মসংস্থান যা এক দিকে বাংলাদেশের অনেক পরিবারে সচ্ছলতা এনে দিচ্ছে অন্যদিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংকের রেমিট্যান্স।
আজকালের খবর/বিএস